জেরায় এ বার দোভাষী

শনিবারই অ্যামফেটামাইন মাদক ট্যাবলেট-সহ ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, ধৃতেরা প্রায় বছর দুয়েক ধরে এ রাজ্যে থাকছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ০২:৫২
Share:

কলকাতা স্টেশনে মাদক সহ ধৃত চিনা নাগরিকরা।— নিজস্ব চিত্র।

কলকাতা স্টেশন থেকে ধৃত পাঁচ চিনা নাগরিকের সঙ্গে আর্ন্তজাতিক যোগ রয়েছে, বলছেন গোয়েন্দা কর্তারা।

Advertisement

শনিবারই অ্যামফেটামাইন মাদক ট্যাবলেট-সহ ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, ধৃতেরা প্রায় বছর দুয়েক ধরে এ রাজ্যে থাকছিল। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় ঘাঁটি গেড়েছিল তারা, এমনই দাবি সিআইডি কর্তাদের। বেলডাঙা থেকেই শনিবার ধৃতেরা ট্রেনে ওঠে। ওই ইটভাটাতেই কি মাদক তৈরি হত, নাকি সীমান্ত পেরিয়ে আসা মাদক সেখানে মজুত থাকত, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তবে এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, ওই ইটভাটায় মাদক তৈরি প্রায় অসম্ভব। এ ধরনের মাদক তৈরিতে পারদর্শিতা ও আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে দেখা হবে, ওখানে মাদক তৈরি সম্ভব কি না। পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের অনুমতি নিয়ে ইটভাটাটি খোলা হবে। তাঁদের দাবি, বেলডাঙায় ৩২ জন চিনা নাগরিক রয়েছেন। তাঁদেরও জেরা করা হচ্ছে।

Advertisement

পার্শ্ববর্তী হরিহরপাড়ায় একটি কারখানায় পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাই বস্তাবন্দি করে বিক্রি করা হত। বিষয়টি অস্বাভাবিক বলে সে দিকটিও নজরে রাখা হচ্ছে। ওই মাদক শুধু কলকাতার জন্য আসছিল, নাকি অন্যত্র পাচার হচ্ছিল, তা-ও দেখা হবে। সিআইডি কর্তাদের কথায়, ধৃতদের জেরায় ভাষার সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের কয়েক জন দোভাষী মারফত ধৃতদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন