স্থানীয়দের আপত্তি, বন্ধ হল সার্কাস

বুধবার সকালে বিধাননগর পুরসভার ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝে একটি খেলার মাঠে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু জানিয়েছেন, পুর প্রশাসনের বিষয় নিয়ে তিনি মন্তব্য করবেন না। তবে পুরসভা অনুমতি দিলেও বাসিন্দাদের আপত্তি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাই তাঁদের আবেদন মেনে খেলার মাঠে সার্কাস বন্ধ করা হয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৩২
Share:

বিধাননগরের এই মাঠে সার্কাসের অনুমোদন নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

পুরসভার অনুমতি নিয়ে মাঠে চলছিল সার্কাসের প্রস্তুতি। বুধবার তার জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে কয়েকটি ট্রাক এলাকায় ঢোকে। কিন্তু মাঠ নষ্ট হয়ে যাবে বলে প্রতিবাদ জানান বাসিন্দারা। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে যান স্থানীয় বিধায়কও। বাসিন্দাদের আপত্তিকে সমর্থন করে সার্কাস কর্তৃপক্ষকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে ফিরে যান তাঁরা। পুরসভা দাবি করে, স্থানীয় কাউন্সিলরের আবেদনে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাসিন্দাদের আপত্তির কথা মাথায় রেখে সার্কাস বন্ধ করা হচ্ছে।

Advertisement

বুধবার সকালে বিধাননগর পুরসভার ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝে একটি খেলার মাঠে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু জানিয়েছেন, পুর প্রশাসনের বিষয় নিয়ে তিনি মন্তব্য করবেন না। তবে পুরসভা অনুমতি দিলেও বাসিন্দাদের আপত্তি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাই তাঁদের আবেদন মেনে খেলার মাঠে সার্কাস বন্ধ করা হয়েছে।

এ দিন পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সার্কাস কর্তৃপক্ষের তরফে এক প্রতিনিধি দাবি করেন, পুরসভার অনুমতি নিয়েই তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর পরেই পুরসভার অন্দরে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। খেলার মাঠে কেন অনুমতি দিল পুরসভা? আর যদি দিয়েই থাকে, তবে কেন তার দায় সার্কাস কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে পড়বে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে।

Advertisement

খোদ বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের দাবি, সার্কাস কর্তৃপক্ষ স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর সর্দারের কাছে আবেদন করেছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর নো-অবজেকশন দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে পুরসভা অনুমোদন দেয়। তার তথ্যপ্রমাণও রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এখন বাসিন্দারা আপত্তি তুলেছেন বলে সার্কাসের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। মাঠের যা ক্ষতি হয়েছে, তা সার্কাস কর্তৃপক্ষ মেরামত না করলে পুরসভা মেরামত করবে। সে ক্ষেত্রে সার্কাসের জন্য জমা নেওয়া টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর সর্দার অবশ্য এই অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ একেবারে খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘কোনও লিখিত অনুমতি দেওয়াই হয়নি।’’

বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই জেসিবি মেশিন এনে মাঠের কাজ চলছিল। বিভিন্ন জায়গায় গর্ত করা হচ্ছিল। প্রথমে তাঁরা বুঝতে পারেননি। কিন্তু এ দিন সকালে সার্কাসের কয়েকটি ট্রাক এলাকায় ঢুকতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয় তাঁদের কাছে।

বাসিন্দাদের বক্তব্য, দু’টি স্থানীয় ক্লাব রয়েছে। শীতকালে ওই মাঠে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়। কিন্তু কখনও সেখানে কোনও মেলা বা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন