চলছে উৎসবের প্রস্তুতি। আর্চ বিশপ্স হাউসে গৌতম লুইস। শুক্রবার। ছবিটি তুলেছেন শুভাশিস ভট্টাচার্য।
সপ্তাহ খানেক এখনও বাকি, কিন্তু উৎসবের মেজাজ ইতিমধ্যেই জমজমাট।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর মাদার টেরেসাকে সন্ত উপাধি দেওয়া হবে ভ্যাটিক্যান সিটির পক্ষ থেকে। সেই উপলক্ষে মিশনারিস অব চ্যারিটি, ক্যাথলিক অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আগামী কয়েক মাস ধরে চলবে নানা অনুষ্ঠান। শুক্রবার আর্চ বিশপস হাউসে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সেই অনুষ্ঠানের ঘোষণা করলেন টমাস ডিসুজা। এ দিন ডিসুজার সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন মিশনারিস অব চ্যারিটির পক্ষ থেকে সিস্টার লাইজা, ক্যাথলিক অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সভাপতি আলেকজান্ডার অ্যান্টনি ও মাদার টেরেজা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিরেক্টর সুনীল লুকাস।
ডিসুজা জানান, কুইজ প্রতিযোগিতা থেকে চলচ্চিত্র উৎসব, অনুষ্ঠানের তালিকায় থাকছে সবই। প্রতিটি অনুষ্ঠানই হবে ‘মাদার’কে কেন্দ্র করে। ২১ অগস্ট বিভিন্ন স্কুলে মাদার টেরেসাকে নিয়ে হবে কুইজ প্রতিযোগিতা। ২৬ তারিখ মাদারের ব্রোঞ্জ মূর্তি স্থাপিত হবে। সে দিনই ২৩টি সিনেমা নিয়ে নন্দনে শুরু হবে ‘মাদার টেরেসা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’। যেখানে মাদার টেরেসাকে নিয়ে ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি-সহ একাধিক দেশে তৈরি ছবি দেখানো হবে।
মাদারকে নিয়ে তৈরি সিনেমা আবার শহরের ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছে শহরে। এক সময়ে তাঁকে মাদার নিয়ে এসেছিলেন শহরে। সাল-তারিখ মনে না পরলেও, মনে আছে পোলিও আক্রান্ত হওয়ায় ছোটবেলায় হেঁটে চার্চে যেতে পারতেন না তিনি। মাদার তাঁকে নিয়ে যেতেন কোলে করে। তার পরে এক দিন মাদারই খুঁজে দিয়েছিলেন তাঁর ‘মাম্মি’-কে। সালটা ১৯৮৪। আর আসা হয়নি কলকাতায়। পাড়ি দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড। তার পরে পড়াশোনোর জন্য লন্ডন। এখন তিনি পাকাপাকি ভাবে পশ্চিম লন্ডনের বাসিন্দা। পেশায় পাইলট কিন্তু ছবি তোলা তাঁর নেশা। সেই ছবির হাত ধরেই আবার শহরে ফিরে এসেছেন। ‘মাদার’-কে তুলে ধরতে চাইছেন সকলের সামনে। এ দিন এমনই নানা কথা বললেন গৌতম লুইস।
তাঁর পরিচালিত ‘মাদার টেরেসা অ্যান্ড মি’ তথ্যচিত্রটি দেখানো হবে চলচ্চিত্র উৎসবে। উৎসবে বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্যও। সিস্টার লাইজা বলেন, ‘‘এত অনুষ্ঠান আয়োজনের মূল লক্ষ্য সকলের মধ্যে মাদারের ভাবনাকে ছড়িয়ে দেওয়া।’’