ছাত্রকে মেরে ঠোঁট ফাটানোর অভিযোগ

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ঠোঁট-নাকে চোট তো রয়েছেই, কিন্তু ঘটনার অভিঘাতে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:১৬
Share:

মৈনাক ভট্টাচার্য

কথায় কথায় অভিভাবকদের ডেকে পাঠানোই স্কুলের দস্তুর বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। এমনকী, পড়ুয়ার সামান্য ভুলচুক হলে ডায়েরিতে তা লিখে জানানো হয় বাড়িতে। এ বার যোগ হল পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগও। ঘটনাস্থল ব্যারাকপুরের সেন্ট অগাস্টিন ডে স্কুল।

Advertisement

বুধবার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মৈনাক ভট্টাচার্য মুখ ভর্তি রক্ত নিয়ে ফেরে। তার নাকের নীচেও রক্ত ছিল বলে অভিযোগ পরিবারের। কী হয়েছে জানতে চাইলে মৈনাক অঝোরে কাঁদতে থাকে বলে জানান মা পাপিয়া ভট্টাচার্য। কোনও মতে সে জানায়, এক শিক্ষিকা তাকে মেরেছেন। সঙ্গে সঙ্গে মৈনাককে ভর্তি করা হয় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তার ঠোঁটে সেলাই পড়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ঠোঁট-নাকে চোট তো রয়েছেই, কিন্তু ঘটনার অভিঘাতে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে সে।

মৈনাকের বাবা বিকেলে ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেন্ট অগাস্টিন ডে স্কুলের প্রিন্সিপাল এ ডি গোমস জানান, বিষয়টি জানা ছিল না। খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে প্রিন্সিপাল-সহ স্কুলের তিন শিক্ষক হাসপাতালে গিয়ে মৈনাককে দেখে আসে‌ন।

Advertisement

মৈনাকের বাড়ি বেলঘরিয়ায়। তার বাবা পার্থ ভট্টাচার্য কামারহাটি পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর। কী ঘটেছিল এ দিন? পাপিয়া জানান, বুধবার স্কুলে মৈনাকের সাধারণ জ্ঞানের মৌখিক পরীক্ষা ছিল। সে দুপুরে স্কুলের বাসেই বাড়ি ফেরে। বাস থেকে মৈনাক যখন নামে, তখন তার নাক এবং ঠোঁট দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছিল। ভয় পেয়ে যান পাপিয়া। স্বামীকে ফোন করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরে পার্থবাবু ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঠোঁটে সেলাই পড়ে মৈনাকের। আতঙ্কিত মৈনাক তখনও পুরো বিষয়টি জানাতে পারেনি।

পরে চিকিৎসকদের সে জানায়, পরীক্ষায় সে একটি প্রশ্নের উত্তর বলতে পারেনি। তখন শিক্ষিকা রেগে গিয়ে তাকে স্কেল দিয়ে মারেন। স্কুলেই তার নাক-মুখ থেকে রক্তপাত শুরু হয়। কিন্তু তার কোনও চিকিৎসা হয়নি। এমনকী, তার বাড়ির লোকেদের জানানোও হয়নি। ওই অবস্থাতেই বাড়ি ফেরে সে।

পার্থবাবু এ দিন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এমন ঘটনার পরে স্কুল কেন কিছু জানাল না? কেনই বা প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু করাল না?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন