Mamata Banerejee on electrocution deaths

‘সিইএসসি না দিলে চাকরি দেব আমরা’, কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুতে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ফের তোপ গোয়েন্‌কার সংস্থাকে

মঙ্গলবার অবশ্য কড়া ভাষায় সিইএসসিকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এর (মৃত্যুর) দায় সিইএসসি-কে নিতে হবে। এখনই তারা জরুরি ভিত্তিতে কর্মীদের নামাক।” প্রশ্ন তোলেন আধুনিকীকরণ নিয়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৫
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় আবার ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন বা সিইএসসি-কে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সিইএসসি-কেই। কারণ, তাঁদের গাফিলতিতেই এই প্রাণহানি। বুধবার ভবানীপুর ৭০ পল্লির শীতলা মন্দিরের দুর্গোৎসবের উদ্বোধনে গিয়ে মমতা জানালেন, সিইএসসি যদি মৃতদের পরিবারের চাকরির ব্যবস্থা না করে, কর্মসংস্থান করে দেবে তাঁর সরকার। কী চাকরি পাবেন, সেটাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সঞ্জীব গোয়েন্‌কার সংস্থার কাছে তাঁর ‘অনুরোধ’ মৃতদের পরিবারকে যেন ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের তরফেও স্বজনহারানো পরিবারগুলিকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী দুর্যোগ এবং দুর্যোগে প্রাণহানি নিয়ে বলেন, ‘‘এখন পরিস্থিতি অনেকটা ভাল। দু’-একটা লোল্যান্ড (নিচু জায়গা) ছাড়া সব জায়গা থেকে মোটামুটি জল নেমে গিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘প্রকৃতি আমাদের হাতে নেই। কিন্তু বিশ বছর ধরে কলকাতা বন্দর, ফরাক্কা ব্যারেজ কোনও দিন ‘ড্রেজ়’ করেনি। বিহারে, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেও জল চলে আসছে। সবটা আমাদের সামলাতে হচ্ছে।’’ এর পর সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর প্রসঙ্গে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আমাদের সরকার থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর সিইএসসি চাকরি না দিলে আমরা চাকরি দেব। সরকার থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে পরিবারের এক জন সদস্যকে। তার পরেও সিইএসসি-কে অনুরোধ করব, ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার জন্য (মৃতদের পরিবারকে)। যেহেতু তাদের জন্য এই দুর্ঘটনা হয়েছে।’’

মঙ্গলবার আরও কড়া ভাষায় সিইএসসিকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এর (মৃত্যুর) দায় সিইএসসি-কে নিতে হবে। এখনই তারা জরুরি ভিত্তিতে কর্মীদের নামাক।” এর পর তিনি বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে তোপ দেগে বলেন, “এখানে ব্যবসা করছে। আর পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের (মডার্নাইজ়েশন) কাজ করছে রাজস্থানে। আর এখানে আধুনিকীকরণের কাজ করছে না। বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে।” সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, সংস্থার কর্ণধারের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement