পুরসভার জলে মিলল কলিফর্ম ব্যাক্টিরিয়া

কলকাতা পুরসভার আন্ত্রিক আক্রান্ত এলাকা থেকে সংগ্রহ করা জলের নমুনাতেই মিলল কলিফর্ম ব্যাক্টিরিয়া, পুরসভারই জল সরবরাহ দফতরের ল্যাবরেটরিতে করা পরীক্ষায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সোমবারই ঘোষণা করেছিলেন, পুরসভার সরবরাহ করা জলে সংক্রমণ নেই। সে দাবি টিকল না। কলকাতা পুরসভার আন্ত্রিক আক্রান্ত এলাকা থেকে সংগ্রহ করা জলের নমুনাতেই মিলল কলিফর্ম ব্যাক্টিরিয়া, পুরসভারই জল সরবরাহ দফতরের ল্যাবরেটরিতে করা পরীক্ষায়।

Advertisement

১৫৪টি নমুনার মধ্যে তিনটিতে ওই ব্যাক্টিরিয়ার সন্ধান পাওয়ার পরে পুরসভার তরফে ওই সব এলাকায় জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জল সরবরাহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিনটি নমুনার একটি সংগ্রহ করা হয়েছিল একটি বাড়ির ভিতরের চৌবাচ্চা থেকে। ধাপা পাম্পিং স্টেশন থেকে সরবরাহ করা জল ছিল ওই চৌবাচ্চায়। আরেকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল কলকাতা পুরসভার নলকূপ থেকে। আর তৃতীয় নমুনাটি ছিল বাজারে বিক্রি হওয়া বোতলবন্দি জল। তবে বোতলের জল যে অনেক ক্ষেত্রেই পুরসভার কল থেকে নেওয়া হচ্ছে সেই অভিযোগ আগেই উঠেছিল।

ওই দফতর সূত্রের খবর, সোমবার ওই সব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রিপোর্ট পাওয়ার পরেও পুরসভা কেন তা প্রকাশ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী, মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জল ফুটিয়ে খেতে বললেও নীরব ছিলেন মেয়র। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘একটি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা জলে ব্যাক্টিরিয়া মিলেছে।’’ পুর-নলকূপের জলের নমুনায় ব্যাক্টিরিয়া পাওয়ার খবর তাঁর কাছে নেই বলে মেয়র জানিয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ধর্মতলায় সভা ধর্ম বদলের, সঙ্গে গুন্ডামি

পুরসভার চিন্তা বাড়িয়েছে ১০০, ১১১, ১১২ ওয়ার্ডে আন্ত্রিক সংক্রমণও। ওই তিন ওয়ার্ড থেকে অন্তত ৬৫ বাসিন্দা বুধবার বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এসেছিলেন। পাঁচ জনকে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই সব এলাকায় গার্ডেনরিচ প্রকল্প থেকে জল দেওয়া হয়। ধাপা স্টেশন থেকে জল দেওয়া হয়, এমন ওয়ার্ডেই এতদিন আন্ত্রিক ছড়িয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন