প্রতীকী ছবি।
মঙ্গলবার পুরসভা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে পানীয় জলের তিনটি নমুনায় কলিফর্ম ব্যাক্টিরিয়া পেয়েছিল। এ বার স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পুরসভার পাঠানো অন্য দু’টি নমুনাতেও মিলল কলিফর্ম। অর্থাৎ পুরসভার পানীয় জলের সঙ্গে নিকাশির জল যে মিশে যাচ্ছে, সেই আশঙ্কাই দৃঢ় হচ্ছে। যদিও পুর-কর্তৃপক্ষ এখনও বিষয়টি মানতে চাইছেন না।
বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরীক্ষা করা জলের নমুনাগুলির মধ্যে দু’টিতে কলিফর্ম পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেই কারণেই পেটের সমস্যা হয়েছে কি না সেটা গবেষণার বিষয়।’’ স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়ে দেন, ওই দু’টি জলের নমুনাই পুরসভার সরবরাহ করা জলের।
পরজীবী বিশেষজ্ঞরা বলছেনই, পানীয় জলে কলিফর্ম ব্যাক্টিরিয়া পাওয়ার অর্থই হল পানীয় জলে নিকাশি জল মিশে যাওয়া। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এখনও তা মানতে নারাজ। এ দিন পুর অধিবেশন এবং পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, একটি বাড়ির নোংরা চৌবাচ্চা থেকে নেওয়া জলের নমুনায় কলিফর্ম মিলেছে। কলের জলে কিছু মেলেনি। অথচ পুর ল্যাবরেটরির রিপোর্টেই লেখা, ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের ‘ডি বাই ১৫৩ বাঘাযতীন’ ঠিকানায় অতনু গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে পুরসভার কল থেকে ওই জীবাণু মিলেছে।
বিরোধীরা প্রথম থেকেই পুরসভার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলছেন। সিপিএমের কাউন্সিলর রত্না রায় মজুমদার যেমন এ দিন বলেন, ‘‘ওঁর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে বিভ্রান্ত মানুষ। প্রশাসনও। এর দায় মেয়র এড়াতে পারেন না।’’ মেয়রের উত্তর, ‘‘বিভ্রান্তি ছড়াইনি। এটা যে জলবাহিত রোগ নয়, তা-ও বলিনি। বলেছি জল পরীক্ষা করে দূষণের প্রমাণ মেলেনি।’’ তাঁর বক্তব্য, দক্ষিণ কলকাতায় পেটের অসুখ নিয়ে পুরসভা উদ্বিগ্ন। সেই জন্যই জলের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। মেয়রের দাবি, ‘‘পুরসভা দায়িত্ব এড়াতে চাইছে না।’’