জখম প্রিয়া দাস। নিজস্ব চিত্র
রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে বারাসত-টাকি রোডে। কাজের জন্য উড়ছে ধুলো। সেই ধুলো সামাল দেওয়ার জন্য ট্যাঙ্কারে করে জল ছেটানোর কাজ চলছে। সেই জলের ট্যাঙ্কারের সঙ্গে মোটরচালিত ভ্যানের ধাক্কায় জখম হল দুই স্কুল ছাত্রী। তাদের মধ্যে এক জনের চিকিৎসা চলছে বারাসত হাসপাতালে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত-টাকি রোডের দেগঙ্গার তেঁতুলতলা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে দেগঙ্গার কার্তিকপুর থেকে বারাসতের দিকে একটি ভ্যানে চড়ে দশ-বারো জন ছাত্রী স্কুলে যাচ্ছিল। তেঁতুলতলা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি জলের ট্যাঙ্কারের পিছনে ভ্যানটি ধাক্কা মারে। ট্যাঙ্কারের তলায় কিছুটা ঢুকে যায় সেটি। দু’টি গাড়ির মধ্যে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়া দাস ও ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী তিথি ঘোষের পা আটকে যায়। কমবেশি আহত হয় অন্য পড়ুয়ারাও। কোনও মতে সেখান থেকে দুই ছাত্রীর পা টেনে বের করেন স্থানীয় মানুষেরা। তাঁরাই দু’জনকে উদ্ধার করে বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন রাস্তা তৈরি কাজে নিযুক্ত সংস্থার কর্মীরাও। তাঁরা গুরুতর জখম প্রিয়াকে নিয়ে যান বারাসত জেলা হাসপাতালে।
ওই দুই ছাত্রীই দেগঙ্গা কার্তিকপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রোজিনা পরভিন বলেন, ‘‘একেই চারদিক খোলা। তার উপরে ঠেসে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে ভ্যানগুলি। কোনও নিয়ম মানা হয় না। প্রায়ই এমন বিপত্তি ঘটে।’’ ভ্যান চলাচল নিয়ে পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।