ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ পুলিশে দায়ের হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, সোমবার কসবা থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তদন্ত শুরু হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত অভিযুক্তদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের জুনে সুলভে ঋণ পাওয়া যাবে বলে, সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। তা দেখে যোগাযোগ করেন কসবার শরৎ ঘোষ গার্ডেন রোডের বাসিন্দা শোভন রায়চৌধুরী। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, ওই বিজ্ঞাপনে একটি সংস্থার নাম এবং ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। ১০ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য তিনি ওই নম্বরে যোগাযোগ করেন। ঋণ পাওয়ার জন্য তাঁকে ফোনে ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলা হয়। তিনি পুলিশে জানান, ঋণের প্রয়োজন থাকায় ২০১৭ সালের মাঝামাঝি ওই টাকা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমাও দেন। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার পরেই বন্ধ হয়ে যায় ফোন। এর পরেই তাঁর সন্দেহ হয়।
তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্তেরা জানিয়েছিল, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের একটি সংস্থার সঙ্গে তারা যুক্ত। শোভনবাবুর কাছে অভিযুক্তেরা দাবি করেছিল,
ওই সংস্থা ব্যবসার জন্য এবং ব্যক্তিগত কারণে ঋণ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন নথিও দেখায়। কিন্তু পরবর্তী কালে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে শোভনবাবু গঙ্গারামপুরের ওই সংস্থার খোঁজ করলে জানতে পারেন, সেটি ভুয়ো। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে ওই একই কায়দায় কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।