মত্ত অবস্থায় এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় ক্লাবের সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা ঘিরে ক্লাবে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠল সেখানকারই প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে। শনিবার গভীর রাত থেকে চলা ওই ঘটনাক্রমে সরগরম দমদমের গোরক্ষবাসী রোড।
আক্রান্ত যুবক সঞ্জয় রাজবংশীর অভিযোগ, শনিবার রাত ৩টে নাগাদ নিজের গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বাড়ির কাছে বন্ধুদের দেখে তিনি গাড়ি থেকে নেমে আড্ডা মারছিলেন। যুবকের দাবি, সে সময়ে স্থানীয় ক্লাবের সম্পাদক সায়ন্তন ঘোষ অহেতুক তাঁদের গালিগালাজ করতে থাকেন। সঞ্জয়ের অভিযোগ, গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেন সায়ন্তন। তাঁকে মারধরও করেন। এর পরে ওই যুবকেরা বাড়ি চলে গেলেও রবিবার দুপুরে ঘটনা অন্য মোড় নেয়। ওই ক্লাবেরই প্রাক্তন সভাপতি রাজীব চৌধুরী দলবল নিয়ে ক্লাব চত্বরে জমায়েত হয়ে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ।
এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘শনিবার রাতে যা ঘটেছে তা অন্যায় ঠিকই। কিন্তু তার জন্য রবিবার দুপুরে যে ভাবে একদল লোক নিয়ে পাড়ার মধ্যে গালিগালাজ করা হল, সেটাও কি আদৌ ঠিক হল?’’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজীব বলেন, ‘‘সায়ন্তনের বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় একাধিক ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তিকে কেন ক্লাবের সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে, তা নিয়েই কিছু কথা বলেছি। কারও সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করা হয়নি।’’
সায়ন্তনের বিরুদ্ধে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘‘সঞ্জয়েরা রাস্তা আটকে গাড়ির মধ্যে মদ্যপান করছিলেন। আমি প্রতিবাদ করেছি বলে অভিযুক্ত হয়ে গেলাম। ওঁদের বিরুদ্ধে আমিও থানায় যাওয়ার কথা ভাবছি।’’