সংঘর্ষের পরে। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র
অটো ও টোটো চালকদের সংঘর্ষ থামাতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার উড়ালপুল সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে সোনারপুর উড়ালপুল এলাকা থেকে চারটি টোটো-রুট চালু হওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সকাল থেকে একে একে প্রায় ৪০টি টোটো স্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়েছিল। সোনারপুর স্টেশন এলাকায় টোটো ও অটো একই স্ট্যান্ডে থাকে। অভিযোগ, সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ কয়েক জন অটোচালক টোটোচালকদের স্ট্যান্ড ছেড়ে চলে যাওয়ার শাসানি দিতে থাকে।
কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, টোটোচালকেরা স্ট্যান্ড না ছাড়ায় আচমকাই প্রায় ৩০-৩৫ জন অটোচালক তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অভিযোগ, ওই অটোচালকেরা তৃণমূল পরিচালিত সংগঠনের সদস্য। অভিযোগ, লোহার রড, কাঠ, বাঁশ দিয়ে মারধরের পাশপাশি টোটোগুলি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে অটোচালকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের সামনেই টোটোগুলিতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে আসেন সোনারপুর টাউন তৃণমূল সভাপতি রঞ্জিত রায় ও টোটো ইউনিয়নের নেতা চিন্ময় জোয়ারদার। অটোচালকেরা দুই নেতাকে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। এর পরেই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। অটোচালকদের ধাওয়া করে ধরা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ জন অটোচালক গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৩০টি টোটো ভাঙা হয়েছে। চারদিকে কাচের টুকরো। দু’জন প্রতিবন্ধী টোটোচালক গুরুতর জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ।
টোটোচালকদের বক্তব্য, যে সব রুটে অটো চলে না সেই রুটেই টোটো চালু হবে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু অটোচালকেরা কোনও মতেই টোটো চালাতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। অটোচালকদের তাণ্ডবের বিষয়ে রঞ্জিতবাবু বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনের কোনও অটোচালক এই ঘটনায় জড়িত নন।’’