রাস্তায় পড়ে বাগড়ি মার্কেটের পোড়া সামগ্রী। নিজস্ব চিত্র
বাগড়ি মার্কেটের ভস্মীভূত সামগ্রী ও ধ্বংসাবশেষ সরানো নিয়ে অচলাবস্থা শেষ পর্যন্ত কাটল। আগামী দশ দিনের মধ্যে বাজারের সব ধ্বংসাবশেষ সরানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভস্মীভূত সামগ্রী সরানোর ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভাকে সাহায্য করবে বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠন। সোমবার কেন্দ্রীয় পুর ভবনে বাগড়ি মার্কেট নিয়ে এক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, পুলিশ, মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদল এবং পুরসভার পদস্থ আধিকারিকেরা। সেখানেই ভস্মীভূত সামগ্রী সরিয়ে বাজারের কাঠামোর উপরে চাপ কী ভাবে কমানো যায়, সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কারণ চলতি মাসের শুরুতে আইআইটি-র বিশেষজ্ঞেরা বাগড়ি মার্কেট পরিদর্শন করে জানিয়েছিলেন, অগ্নিকাণ্ডের জেরে কাঠামো দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাই দ্রুত ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে চাপ কমাতে হবে। কিন্তু মাস শেষ হতে চললেও রবিবার পর্যন্ত সেই ধ্বংসাবশেষ সরানো হয়নি।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যে পরিমাণ ভস্মীভূত সামগ্রী এখনও বাজারে পড়ে আছে সেগুলি ব্যবসায়ীরাই উদ্যোগী হয়ে এক জায়গায় জড়ো করবেন। পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের লরি এসে ওই সামগ্রী তুলে নিয়ে ধাপায় ফেলবে। এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘কোথায় ভস্মীভূত সামগ্রী জড়ো করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কারণ, এর পরিমাণ কম নয়। তখন পুলিশের তরফে বলা হয়, জায়গা তারাই দেখিয়ে দেবে। নির্ধারিত ওই জায়গা থেকেই পুরসভার লরি সেগুলি নিয়ে যাবে।’’
আরও পড়ুন: বাজি পরীক্ষায় বিচার্য শুধুই শব্দমাত্রা
বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষে দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই ১২৫ লরি ভস্মীভূত সামগ্রী সরানো হয়েছে। পুরসভা এ কাজে আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করছে। বাকি ধ্বংসাবশেষও আগামী দশ দিনের মধ্যে সরানো হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’’
ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আইআইটি বিশেষজ্ঞদের কথা মতো তাঁরা বাজারের নকশা তৈরির জন্য এক স্থপতিকে নিয়োগ করেছেন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে কাঠামো দুর্বল হয়ে কোথাও হেলে গিয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। দেবব্রতবাবুর কথায়, ‘‘আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আমরা রিপোর্ট তৈরি করে আইআইটি-তে পাঠাব।’’
প্রসঙ্গত, অগ্নিকাণ্ডের পরেই বাজারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ দিন ব্যবসায়ীদের তরফে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে বাজারে সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। আজ, মঙ্গলবার সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হতে পারে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।