চিংড়িঘাটা এবং তার আশপাশের বাইপাস এলাকা এ বার পাচ্ছে নতুন পরিকাঠামো উন্নয়নের ছোঁয়া। —ফাইল চিত্র।
শহরের অন্যতম ব্যস্ত ও যানজটে পরিপূর্ণ অঞ্চল চিংড়িঘাটা এবং তার আশপাশের বাইপাস এলাকা এ বার পাচ্ছে নতুন পরিকাঠামো উন্নয়নের ছোঁয়া। যানজটের সমস্যা দূর করতে সায়েন্স সিটি মোড় থেকে ক্যাপ্টেন ভেরি পর্যন্ত একটি নতুন স্টিল সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেতুটি তৈরি হলে ওই অঞ্চলে প্রতি দিনের যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চিংড়িঘাটা মোড় শহরের পূর্বাংশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক সংযোগস্থল। সল্টলেক, নিউ টাউন, তিলজলা, কসবা, রুবি বা গড়িয়া থেকে আসা গাড়িগুলির একটি বড় অংশ এই রাস্তায় মিলিত হয়, ফলে প্রায়ই দেখা দেয় ব্যাপক যানজট। সেই সমস্যার সমাধানেই উদ্যোগী হয়েছে কেএমডিএ। পরিকল্পনামতো, সেতুটি ক্যাপ্টেন ভেরির পাশে দক্ষিণ থেকে উত্তরের দিকে বাইপাসের উপর একটি বিকল্প গেটওয়ে হিসাবে কাজ করবে, যার মাধ্যমে মূল রাস্তায় চাপ অনেকটাই কমবে। কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০ মিটার দীর্ঘ এবং ১০ মিটার প্রস্থের এই সেতুর নকশায় রাখা হয়েছে আধুনিক কার্শওয়ে ও নিরাপদ ফুটপাথ। প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং প্রাথমিক অনুমোদনও মিলেছে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।
কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে চিংড়িঘাটার পাশের বাইপাস অংশ সঙ্কীর্ণ হওয়ায় বড় গাড়ি, বাস এবং মিনিবাসের গতি মারাত্মক ভাবে কমে যায়। নতুন সেতুটি চালু হলে এই যানবাহনগুলি বাইপাসে আরও দ্রুত গতিতে চলাচল করতে পারবে। এতে শুধু যানজটই কমবে না, জ্বালানি বাঁচবে এবং দূষণও কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। কেএমডিএ ইতিমধ্যেই বাইপাস প্রশস্তকরণের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে, যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সেতু নির্মাণের প্রাথমিক ভূমি পরিমাপ ও নকশার পরিকল্পনাও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
কর্তৃপক্ষের আশা, এই নতুন সেতু চালু হলে সায়েন্স সিটি থেকে কসবা ও রুবি পর্যন্ত প্রতিয়দিনের দীর্ঘ যানজট থেকে শহরবাসী মুক্তি পাবেন। পরিকাঠামোগত এই উন্নয়নের ফলে পূর্ব কলকাতার সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার সংযোগ আরও গতিশীল হবে— যা রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত পরিবহণ করিডরে গতি আনবে।