যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রবেশিকার মেধাতালিকা বিতর্কে তৈরি হয়েছিল তদন্ত কমিটি। সূত্রের খবর, সোমবার কমিটি প্রবেশিকা বিতর্কে তথ্য সংগ্রহে সাহায্যের জন্য কলা বিভাগের ডিন শুভাশিস বিশ্বাসকে সাহায্য করতে বলেছে। সে নিয়ে আবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
অগস্ট মাসে ইতিহাসের মেধা তালিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তার দায়ভার নিয়ে ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শুভাশিসবাবু। এ বার সেই বিষয় নিয়ে তদন্তের কাজে সাহায্যের জন্য তাঁকেই ডাকায় বিস্মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ। শুভাশিসবাবু এ দিন বলেন, ‘প্রবেশিকার মেধাতলিকায় কোথায় ফাঁক ছিল তা চিহ্নিত করার অনুরোধ আমায় করা হয়েছে।’’ এই কাজে তৎকালীন রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকেও সঙ্গে থাকতে বলা হয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ।
প্রবেশিকার ফলে দেখা গিয়েছিল, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে এমন অনেক পরীক্ষার্থী প্রবেশিকাতে দশও পাননি। সেই তালিকায় ছিলেন উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হওয়া ছাত্র গ্রন্থন সেনগুপ্তও। বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের অধ্যাপক পদমর্যাদার মোট ছ’জনকে দিয়ে প্রবেশিকার ৩৪৪টি খাতা আবার দেখানো হয়। ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভাশিসবাবু। সংশোধিত মেধা তালিকায় বেশ কিছু বদল ঘটে। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিলেন ওই ঘটনার তদন্ত হবে। সেই মতো তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছিল। এ দিন কলা বিভাগের বিদায়ী ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, ‘‘আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। কোনও অবস্থাতেই যেন তদন্ত প্রভাবিত না হয়।’’