Maniktala

মানিকতলার বাগমারি সেতু এবং বহুতলের মাঝে ব্যবধান মাত্র ১০ ফুট, শোকজ সংস্থাকে

বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাঁকুড়গাছি ও মানিকতলা সংযোগকারী বাগমারি সেতুর কাছে বিবেকানন্দ রোডে বেসমেন্ট-সহ সাততলা বাড়ির নির্মাণ শুরু হতেই আশপাশের পুরনো বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ০৮:০১
Share:

সেতু থেকে মাত্র দশ ফুট দূরে বেসমেন্ট-সহ একটি সাততলা বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। প্রতীকী ছবি।

মানিকতলার বাগমারি সেতু লাগোয়া এলাকায় বহুতল নির্মাণ ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেতু থেকে মাত্র দশ ফুট দূরে বেসমেন্ট-সহ একটি সাততলা বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। অভিযোগ, বেসমেন্টের কাজের ফলে আশপাশের চুন-সুরকির বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আরও অভিযোগ, নির্মাণকাজ চলার জেরে কেঁপে উঠছে বাগমারি সেতুও। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে কলকাতার মেয়র, পুর কমিশনার ও দমকলের ডিজি-কে চিঠি লিখে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। বুধবার পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

Advertisement

পুর কমিশনার বিনোদ কুমারকে লেখা চিঠিতে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাঁকুড়গাছি ও মানিকতলা সংযোগকারী বাগমারি সেতুর কাছে বিবেকানন্দ রোডে বেসমেন্ট-সহ সাততলা বাড়ির নির্মাণ শুরু হতেই আশপাশের পুরনো বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুর দেওয়াল ও নির্মীয়মাণ বহুতলের দেওয়ালের দূরত্ব মেরেকেটে দশ ফুট। সেতুর গা লাগোয়া এক কোণের জমি হওয়ায় পাশাপাশি দুটো বড় গাড়ি যাতায়াতেও অসুবিধা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্করলাল সিংহের দাবি, ‘‘বাগমারি সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ করে কেএমডিএ। সেতু লাগোয়া মাটিতে খোঁড়াখুঁড়ি করতে কেএমডিএ-র অনুমোদন প্রয়োজন। সে সব ছাড়াই ওই সেতুর পাশে বহুতল নির্মাণ চলছে।’’

সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক পদস্থ কর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বাগমারি সেতু লাগোয়া একটি বহুতলের নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ পেয়ে নির্মাণকারী সংস্থাকে শোকজ় করা হয়েছে।আশপাশের বাড়িগুলি অক্ষত রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা ওই সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্মাণকারী সংস্থার থেকে সদুত্তর না পাওয়া পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’’

Advertisement

স্থানীয় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অয়ন চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘ওই বহুতল নির্মাণে পুরসভা এবং দমকলের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে পুরসভা বিষয়টি দেখছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন