ফুটবল টুর্নামেন্ট ঘিরে ধুন্ধুমার পঞ্চসায়র থানা এলাকার শহিদ স্মৃতি কলোনি। শাসক দলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন থানার অফিসার ইন চার্জ-সহ আরও পাঁচ পুলিশ কর্মী। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে। আটক করা হয়েছে আরও পাঁচ জনকে। তবে মূল অভিযুক্ত শাসক দলের দুই স্থানীয় নেতা এখনও অধরা।
ঘটনার সূত্রপাত থেকে রবিবার রাতে। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে শহিদ স্মৃতি কলোনির তিনটি ব্লকের বাসিন্দাদের নিয়ে ৩২ দলের একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। খেলা চলছিল স্থানীয় ধূপকাঠি মাঠে। রাত দশটা নাগাদ, এ ব্লক এবং সি ব্লকের দু’টি দলের খেলা চলাকালীন, সি ব্লকের এক খেলোয়াড়ের নাকে লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি এ ব্লকের খেলোয়াড় বাই-সাইকেল কিক করতে গেলে, তাঁর পা লাগে সি ব্লকের খেলোয়াড়ের নাকে। যার নাকে লাগে, সে আবার স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোতি দাসের ভাইপো।
ঘটনার খবর মোতির কানে পৌঁছতেই তিনি দলবল নিয়ে মাঠে চলে আসেন। অভিযোগ, তাঁর দলবল এলাকায় এ ব্লকের লোকজনের উপর হামলা করে, মারধর করে। খানিক ক্ষণের মধ্যে পাল্টা মাঠে নামে এ ব্লকের নেতা মদন এবং তাঁর দুই ছেলে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। শুরু হয় ইট এবং বোতল বৃষ্টি।
আরও খবর
বাগড়ি মার্কেটের ভবিষ্যৎ কী? ফিরহাদকে ঘিরে বিক্ষোভ
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পঞ্চসায়র থানার ওসি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের সামনেই চলতে থাকে বোতল বৃষ্টি। পুলিশকে লক্ষ্য করেও ছোড়া হয় বোতল। দেবজিৎবাবুর পায়ে আঘাত লাগে। তিনটি সেলাই করতে হয়েছে তাঁর পায়ে। একই রকম আঘাত পেয়েছেন আরও পাঁচ পুলিশ কর্মী। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও।
আরও পড়ুন
পুলিশ-দমকলের ভূমিকা বাগড়ির ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ বাড়াচ্ছে
রাতেই চার জনকে পাকড়াও করা হয়েছে।কিন্তু মূল অভিযুক্ত মোতি এবং মদন এখনও অধরা।