প্রতীকী ছবি
সল্টলেকের তিন নম্বর সেক্টরে নতুন করে দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাজারহাট-গোপালপুরের বাসিন্দা এক মহিলা এবং নিউ টাউনে কোয়রান্টিন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক হাসপাতালে ভর্তি। সকলের শরীরেই করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে পুরসভা এবং জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। ওই মহিলা সল্টলেকের একটি হাসপাতালের নার্স। যে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে, তিন নম্বর সেক্টরের ওই দুই ব্যক্তি সেখানকারই একটি সরকারি ভবনে থাকেন।
এর পাশাপাশি তিন নম্বর সেক্টরে একটি সরকারি আবাসন এলাকা সোমবার জীবাণুমুক্ত করে পুরসভা। কারণ, ওই আবাসন সংলগ্ন একটি সরকারি অফিসের এক কর্মীকে সম্প্রতি করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ, মঙ্গল ও কাল বুধবার ওই অফিস বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করা হবে।
ওই আবাসনটি বিধাননগর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের এলাকায় একাধিক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এই পরিস্থিতিতেও ওই অফিসে কর্মীরা আসছেন। যদিও কর্মীদের পাল্টা বক্তব্য, জরুরি পরিষেবায় যুক্ত থাকায় তাঁদের আসতেই হচ্ছে। তবে বাড়ি থেকে কাজ করার প্রক্রিয়া চালু করা যায় কি না, সেটাও কর্তৃপক্ষের ভাবা প্রয়োজন।
৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নীলাঞ্জনা মান্না জানান, এলাকা জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি থার্মাল গান দিয়ে বাসিন্দাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, সতর্কতামূলক সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে।