প্রতীকী ছবি
করোনার প্রকোপ বাড়া এবং কমার ভিত্তিতে ইতিমধ্যে কলকাতার একাধিক গলি, লেন বা এলাকাকে লাল, কমলা, সবুজ রঙের ভিত্তিতে বিশেষ জ়োনে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি চিন্তা রেড (লাল) জ়োন নিয়ে। যেখানে সংক্রমণের আশঙ্কা সব চেয়ে বেশি। করোনা মোকাবিলায় শনিবার পাঁচটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে কলকাতা পুরসভা। একটি টাস্ক ফোর্সের কাজ হবে যত শীঘ্র সম্ভব রেড জ়োনকে গ্রিন জ়োনে নিয়ে আসা। অর্থাৎ সংক্রমণের হার কমানো। ওই টাস্ক ফোর্সে পুরসভার সঙ্গে পুলিশ, রাজ্য প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর এবং স্থানীয় কাউন্সিলর বা তাঁর প্রতিনিধি থাকছেন। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে কোন কোন লেন, রাস্তা, এলাকা সিল করা জরুরি, কী ভাবে ওই এলাকার বাসিন্দারা খাদ্যসামগ্রী পাবেন, কোথায় কোথায় নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে, এলাকার মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ—সবই দেখবে ওই টাস্কফোর্স।
করোনা-আক্রান্ত ছাড়াও সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্তদের উপরে নজরদারি এবং তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে অন্য আর একটি টাস্ক ফোর্স। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাঁদের কাছে ওষুধ পাঠানো হবে, অসুস্থতার খবরও নেওয়া হবে।
বাজারগুলোয় জরুরি সামগ্রী সুষ্ঠু ভাবে বিক্রির উপরে নজর রাখবে একটি টাস্ক ফোর্স। তাতে পুলিশও থাকবে। এ ছাড়া রেশন, ত্রাণের সুষ্ঠু বণ্টন ও করোনা মোকাবিলার সামগ্রীর জোগানের দিকে নজরদারি চালাবে বাকি দু’টি টাস্ক ফোর্স।
আরও পড়ুন: মাস্ক না পরায় ছেলেকে খুন, শ্যামপুকুর থানায় আত্মসমর্পণ বাবার