Coronavirus

কলকাতায় করোনা আক্রান্ত আরও ৩, প্রত্যেকেই পণ্ডিতিয়া রোডের

দু’দিন আগেই ওই পরিবারের এক তরুণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ ২০:২৫
Share:

শহরে ফের তিন জন করোনায় আক্রান্ত। ছবি: পিটিআই।

কলকাতার বাসিন্দা আরও ৩ জন নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এঁরা প্রত্যেকেই লন্ডনফেরত করোনা আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তিন জনের মধ্যে দু’জন ওই যুবকের বাবা-মা। আর এক জন বাড়ির পরিচারিকা। বালিগঞ্জের পণ্ডিতিয়া রোডের কাছে বাড়ি ওই যুবকের। বছর ২২-এর ওই যুবক লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন। বাড়ি ফেরার পর তিনি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতর ওই পরিবারের ১১ জনকে রাজারহাটের কোয়রান্টিনে পাঠিয়েছিল। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এন্টেরিক অ্যান্ড কলেরা ডিজ়িজ় (নাইসেড) থেকে রবিবার তাঁদের রিপোর্ট আসে। তাতে দেখা যায়, ওই তিন জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।

Advertisement

গত ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে শহরে ফেরেন করোনা আক্রান্ত ওই তরুণ। তার পরেই জ্বর এবং সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয় তাঁর। পরিস্থিতির অবনতি হলে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। শুক্রবার তার রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, তিনি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত।

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ওই তরুণ লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে যখন কলকাতায় ফেরেন, সেই সময় থার্মাল স্ক্যানিং হয়েছিল তাঁর। কিন্তু তিনি করোনা আক্রান্ত কি না, তা বিমানবন্দরে স্পষ্ট হয়নি। যেহেতু তিনি লন্ডন থেকে ফিরেছেন সে কারণে তাঁকে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই মতো বাড়িতে থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: লকডাউনে কী কী খোলা, কী কী বন্ধ? দেখে নিন এক নজরে​

আরও পড়ুন: রাজ্যে কোথায় কোথায় লকডাউন, এক ঝলকে দেখে নিন​

এ দিন যে তিন জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি মিলল, তাঁরা ওই তরুণের থেকে সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাতে উদ্বেগ বেড়েছে চিকিৎসকদের। কারণ নোভেল করোনার প্রকোপে এই মুহূর্তে ‘থার্ড স্টেজ’-এ রয়েছে। সংক্রমণ আটকাতে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সকলকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, আরও ১৫ জনের রিপোর্ট আসা বাকি রয়েছে। সে দিকেই তাকিয়ে স্বাস্থ্য দফতর।

লন্ডনফেরত ওই যুবকের দুই বন্ধু যাঁরা ওই একই বিমানে দেশে ফিরেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এক জন চণ্ডীগড় এবং অন্য জন ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। ওই দু’জনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। রাজ্যের প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তও লন্ডনফেরত ছিলেন। তৃতীয় করোনা আক্রান্ত তরুণী ফিরেছিলেন স্কটল্যান্ড থেকে। চতুর্থ জন, যাঁর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, ইদানীংকালে তিনি বিদেশ যাননি। ওই ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসে উপস্থিতিত মেলে। তিনি এখন সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement