বিধাননগরে বাজার জীবাণুমুক্ত করা হবে সপ্তাহে এক দিন

আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিধাননগরে কন্টেনমেন্ট জ়োন ও তার বাইরের এলাকায় নিয়মিত পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে সচেতনতার প্রচার চলছে। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফিরছে না নাগরিকদের একাংশের। প্রশাসনকে চিন্তায় রেখেছে বাজারের ভিড়। তাই বাজারগুলি জীবাণুমুক্ত করার কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০১:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিধাননগরে কন্টেনমেন্ট জ়োন ও তার বাইরের এলাকায় নিয়মিত পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে সচেতনতার প্রচার চলছে। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফিরছে না নাগরিকদের একাংশের। প্রশাসনকে চিন্তায় রেখেছে বাজারের ভিড়। তাই বাজারগুলি জীবাণুমুক্ত করার কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভা জানিয়েছে, বাগুইআটি এলাকার কয়েকটি বাজার সপ্তাহে যে দিন বন্ধ থাকে, সে দিনই জীবাণুমুক্ত করা হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজারে পৌঁছেছে। সুস্থ হয়েছেন ৪০০ জন। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, এ দিনই পুর এলাকায় ৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় পুরসভা সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচারে জোর দিয়েছে। ব্যানার, মাইকে ঘোষণা, লিফলেট বিলির মাধ্যমে চলছে প্রচার। কিন্তু পুর প্রশাসনের একাংশের অভিযোগ, তাতেও একদল নাগরিক নিয়ম মানছেন না। দোকান-বাজারে যার ছবি স্পষ্ট। সে কারণে বাগুইআটির বাজার সমিতিগুলির সঙ্গে আলোচনা করে পুরসভা। তার পরে স্থির হয়, সপ্তাহে যে দিন বন্ধ থাকবে সে দিনই বাজারগুলি জীবাণুমুক্ত করা হবে।

বৃহস্পতিবার বাগুইআটি এলাকায় সাতটি বাজার বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করা হয়। একটি বাজার কমিটির

Advertisement

এক কর্মকর্তা স্বপন মণ্ডল জানান, নিয়মিত বাজারে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, বাজার এলাকায় প্রচারে আরও জোর বাড়ানো হবে।

ঘটনাচক্রে লকডাউন কিংবা আনলকের সময়ে বার বার বাগুইআটি এলাকায় ভিড় দেখা গিয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, জনঘনত্ব বেশি হওয়ায় বাজারগুলিতে ভিড় বেশি। বাজারের যা পরিসর তাতে দূরত্ব বজায় রাখা মুশকিল। তবে নাগরিকদেরই একাংশ কোনও ভাবেই যে নিয়ম মানতে চাইছেন না, তা-ও তাঁরা মেনে নিয়েছেন। লকডাউনের সময়ে দোকানের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্বে গোল গোল দাগ কেটে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা হয়েছিল। পুলিশের তরফেও ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রচেষ্টাতে পর্যাপ্ত সাড়া মিলছে না বলে অভিযোগ।

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ প্রণয় রায়ের কথায়, ‘‘বাজার এলাকাকে জীবাণুমুক্ত করে সংক্রমণের হার কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ সচেতন না হলে হাজার চেষ্টা করেও লাভ হবে না। তবে হাল ছাড়ছি না। আরও বেশি করে প্রচার চালিয়ে নাগরিকদের বোঝানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’’

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন