New Town

নিউ টাউনে ফিরুক বসু-নাম, সরব বাম

প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুর ১০৬তম জন্মদিন ছিল সোমবার। সেই উপলক্ষেই এ দিন বিধানসভায় নিউ টাউনের নামকরণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ১৪:১৬
Share:

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানালেন বামেরা। —ফাইল চিত্র।

আশির দশকে মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু সল্টলেকের নাম বিধাননগর করেছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের নামে। একই গণতান্ত্রিক মনোভাব ও সৌজন্য দেখিয়ে নিউ টাউনের নাম ‘জ্যোতি বসু নগর’ করার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানাল বামেরা। রাজারহাটে বসুর নামে গবেষণা কেন্দ্রের জমি সিপিএমের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে বিধানসভায় জানালেও নিউ টাউনের নামকরণের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও আশ্বাস অবশ্য দেননি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুর ১০৬তম জন্মদিন ছিল সোমবার। সেই উপলক্ষেই এ দিন বিধানসভায় নিউ টাউনের নামকরণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েও তিনি বলেছেন, নতুন করে কোনও শহরকে বসুর নামাঙ্কিত করার দাবি তাঁরা তুলছেন না। বামফ্রন্ট সরকার নিউ টাউনের নাম বসুর নামে রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তই ফিরিয়ে দিতে পারে বর্তমান সরকার। তৃণমূলের সরকার বিল এনে ‘জ্যোতি বসু নগর’কে আবার নিউ টাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

সুজনবাবুর দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন, নিউ টাউন নামটি বেশি জনপ্রিয় বলেই সেটি রাখা হয়েছে। পরে সভার বাইরে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘জ্যোতি বসু নগর’ নামকরণের সিদ্ধান্ত বাম মন্ত্রিসভায় পাশ করানোর তথ্য পাওয়া যায়নি। সুজনবাবু যদিও ২০১০ সালের ডিসেম্বরের গেজেট বিজ্ঞপ্তি দেখিয়েছেন, যেখানে ‘জ্যোতি বসু নগরের’ উল্লেখ আছে। তাঁর বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট বিল পাশ হয়েছিল তার মাসদুয়েক আগে। সুজনবাবু বলেন, ‘‘এখন কেউ ক্যাবিনেট মেমো খুঁজে না পাওয়ার কথা বললে কি সত্যকে অস্বীকার করা যায়?’’

Advertisement

২০১০ সালের ৭ অক্টোবর জ্যোতি বসুর নামে নিউটাউনের নামকরণের দিন। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে সংগৃহীত।

আরও পড়ুন: শহরে বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণ ছাত্রীকে, দক্ষিণ কলকাতায় গ্রেফতার গৃহশিক্ষক​

আরও পড়ুন: ফের এক বিধায়কের ইস্তফা, কর্নাটকে সঙ্কট কাটেনি, স্পিকার বললেন, ব্যবস্থা সংবিধান মেনে​

গবেষণা কেন্দ্রের জমির প্রসঙ্গে ফিরহাদ এ দিন বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি দেখছেন।’’ সুজনবাবুর দাবি, বাম জমানায় বসুর নামে কেন্দ্রের জন্য যে জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল এবং টাকা মিটিয়েছিল সিপিএম, টালবাহানা ছেড়ে সেই জমিই হস্তান্তর করুক সরকার।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন