Cyclone Amphan

সিইএসসির জন্য মানুষের অসুবিধা হয়েছে, বললেন ফিরহাদ

ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সিইএসসি পুরসভাকে যে তথ্য বিকেল পর্যন্ত দিয়েছে, তাতে শহরের ৫০ শতাংশ এলাকাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২০ ১৯:৩৯
Share:

ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র

আমপান চলে যাওয়ার পাঁচ দিনের মাথাতেও কলকাতার বহু এলাকা জুড়ে বিদ্যুৎ না আসার দায় ক্যালকাটা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই করপোরেশন বা সিইএসসি-র ঘাড়েই চাপালেন বিদায়ী মেয়র এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি এ দিন স্পষ্ট বলেন, “সিইএসসি-র জন্যই মানুষের অসুবিধা। বিদ্যুতের পেমেন্ট তো সরকার নেয় না। যারা নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব।”

Advertisement

রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সিইএসসি পুরসভাকে যে তথ্য বিকেল পর্যন্ত দিয়েছে, তাতে শহরের ৫০ শতাংশ এলাকাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে এসেছে। ফিরহাদ বলেন, ‘‘সিইএসসি জানিয়েছে, আজ রাত পর্যন্ত বাকি জায়গাতেও বিদ্যুৎ চালু হয়ে যাবে।” বিদায়ী মেয়র এ দিন সিআইএসসি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘এর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নয়। তাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সিইএএসসি দফতরে গিয়েছেন।”

তিনি এ দিন দাবি করেন, গাছ কাটা না হওয়ার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না, এই বক্তব্য ভুল। পাল্টা সিইএসসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘বহু জায়গাতেই সিইএসসি-র বিদ্যুৎবাহী তার পড়ে থাকায় আমাদের কর্মীরা গিয়ে গাছ কেটে পরিষ্কার করতে পারেনি। সেখানে কাজ করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার বিপদ ছিল। আমরা অনেক জায়গায় নিজেদের ইলেকট্রিকাল ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের দিয়ে বিদ্যুতের তার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে কাজ করেছি। অনেক জায়গায় তা সম্ভব হয়নি। অপেক্ষা করতে হয়েছে সিইএসসি-র কর্মীদের জন্য।” ফিরদাহ ইউনিক পার্কের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সেখানে বিদ্যুৎবাহী তার (লাইভ ওয়্যার) পড়ে থাকায় পুরকর্মীরা কাজ করতে পারেননি। দু’দিন পরে সিইএসসি কর্মীরা যাওয়ার পর পুরসভা কাজ করতে পেরেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: অনেক এলাকাতেই ফিরল বিদ্যুৎ, তবে পুরো ছন্দে ফেরেনি কলকাতা​

বিদায়ী মেয়রের দাবি, পুরসভার পক্ষ থেকে সিইএসসি-কে জানানো হয়েছিল একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়ার জন্য যেখানে উপড়ে থাকা গাছের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সমস্যা হয়েছে। ফিরহাদ এ দিন বলেন, ‘‘সেই লিস্ট সিইএসসি আমাদের দেয়নি। তবে আমরা তাদের তালিকা দিয়েছি যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকার জন্য আমরা গাছ কাটতে পারিনি।”

আরও পড়ুন: ধৈর্য ধরুন, এখন ক্ষুদ্র রাজনীতির সময় নয়: মমতা

ফিরহাদ এ দিন জানিয়েছেন, শহরের সমস্ত বড় রাস্তাতেই গাছ কেটে চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেনা এবং এনডিআরএফ-এর সহায়তা অনেকটাই কাজে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে এখনও বিভিন্ন পাড়ায়, গলির মধ্যে উপড়ে থাকা গাছ রয়েছে বলে মেনে নেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘আরও ৩৬০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে গাছ কাটার জন্য। সোমবার ইদের ছুটি থাকলেও পুরসভার সব কর্মী কাজে যোগ দেবেন।” প্রতি ওয়ার্ডে কোঅর্ডিনেটররা বরো অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পাড়ায় পাড়ায় গাছ কাটার তদারক করছেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। আমপানে উপড়ে যাওয়া বা ভেঙে পড়া বাতিস্তম্ভ সম্পর্কে ফিরহাদ বলেন, ‘‘বুধবার থেকে খতিয়ে দেখা হবে ভাঙা এবং উপড়ে যাওয়া বাতিস্তম্ভগুলো। যেগুলো ব্যবহার করা যাবে, সেগুলো সারিয়ে নেওয়া হবে। আর যেগুলো ব্যবহার যোগ্য নয় সেগুলি পরিবর্তন করে দ্রুত রাস্তার আলো স্বাভাবিক করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন