খন্দপথে বিপজ্জনক যাতায়াত

রাস্তার মাঝে কোথাও পিচ উঠে ইট বেরিয়ে পড়েছে। কোথাও তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। পাশাপাশি রাস্তার দু’ধারে ফাঁকা জায়গা নোংরা জল এবং আগাছায় ভরে গিয়েছে। ছবিটি তারাতলা মোড় থেকে গার্ডেনরিচ থানা পর্যন্ত বিস্তৃত তারাতলা রোডের।

Advertisement

দীক্ষা ভুঁইয়া

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৪ ০১:৫০
Share:

এমনই দশা রাস্তার।—নিজস্ব চিত্র।

রাস্তার মাঝে কোথাও পিচ উঠে ইট বেরিয়ে পড়েছে। কোথাও তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। পাশাপাশি রাস্তার দু’ধারে ফাঁকা জায়গা নোংরা জল এবং আগাছায় ভরে গিয়েছে। ছবিটি তারাতলা মোড় থেকে গার্ডেনরিচ থানা পর্যন্ত বিস্তৃত তারাতলা রোডের। বেশ কয়েক বছর ধরেই রাস্তাটির এমন দশা। সম্প্রতি সেই রাস্তায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। তার উপরে বৃষ্টি হলে গর্তগুলিতে জল জমে থাকছে। হঠাত্‌ দেখলে মনে হবে ছোট ছোট ডোবা। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ, গাড়ির চালকরাও।

Advertisement

তারাতলা রোডের আশপাশে রয়েছে বিভিন্ন ছোট-বড় কারখানা থেকে নানা সংস্থার অফিস। রয়েছে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে শুরু করে হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটও। ফলে রোজই এই রাস্তা দিয়ে পড়ুয়া এবং অফিসযাত্রীদের যাতায়াত চলে। পাশাপাশি রয়েছেন সন্তোষপুর, আক্রা, বজবজ, মেটিয়াবুরুজ থেকে শুরু করে দক্ষিণ শহরতলির বিড়লাপুর, মহেশতলা, ডাকঘরের মতো বিভিন্ন এলাকার নিত্যযাত্রীরা। কিন্তু খারাপ রাস্তার জন্য তাঁদের যাতায়াতের সমস্যা বর্তমানে বেড়েছে। বজবজের বাসিন্দা পিনাকী মজুমদারের কথায়, “আগে বাসেই ধর্মতলা যেতাম। কিন্তু এই রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ হয়েছে যে এখন ট্রেনে যাতায়াত করছি।”

আবার সন্তোষপুরের বাসিন্দা ফজলুল হক জানান, একটু রাত হলেই এই রাস্তায় যাতায়াত করতে ভয় করে। বাসে গেলে মনে হয় এই বুঝি রাস্তায় উল্টে গেল।” স্থানীয় বাসিন্দা দীপ্তি বিশ্বাস বললেন, “এত উঁচু নিচু রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলে গায়ে ব্যথা হয়ে যায়। সঙ্গে আছে দুর্ঘটনার ভয়।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তা দিয়ে সারা দিনই বড় বড় লরি ও ট্রেলার যায়। তার ফলে রাস্তার হাল আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। তবে কয়েক বছর ধরে এই রাস্তাটির কোনও রকম সংস্কারও হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

সমস্যার কথা স্বীকার করে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাস্তাটি সারানো বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাঁদেরই। খুব তাড়াতাড়িই সারানো হবে। দরপত্র ডাকার কাজ চলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন