লোকাল ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার গলায় ফাঁস দেওয়া মৃতদেহ। শনিবার সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ঘটনা। এ দিন রাত পর্যন্ত মহিলার পরিচয় মেলেনি। েদহের সুরতহাল করে রেল পুলিশের সন্দেহ, তাঁকে খুন করা হয়েছে।
ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে ৯ ডিসেম্বর। বজবজগামী শেষ লোকাল ট্রেন থেকে বালিগঞ্জ স্টেশনে মিলেছিল এক তরুণীর দেহ। অজ্ঞাতপরিচয় সেই তরুণীর খুনের কিনারা এখনও হয়নি।
রেলপুলিশ জানায়, এ দিন নামখানা থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনটি সোনারপুর ছাড়লে প্রথম কামরায় চিৎকার শুরু হয়। এক যাত্রী দেখেন, মেঝেয় বড় ফলের ঝুড়িতে মহিলার দেহ। গলায় নাইলনের দড়ির ফাঁস। ঝুড়ির উপরে পিসবোর্ড ও তলায় প্লাস্টিকের চাদর ঢাকা ছিল। ট্রেনের ঝাঁকুনিতে সেগুলি সরে গিয়ে দেহটি নজরে আসে। যাত্রীরা সোনারপুর রেলপুলিশে জানান। খবর যায় শিয়ালদহ রেলপুলিশে। ট্রেন শিয়ালদহ ঢুকলে রেলপুলিশ ময়না-তদন্তের জন্য দেহটি এনআরএসে পাঠায়। তবে এ দিন ময়না-তদন্ত হয়নি। দেহের সুরতহাল করে রেলপুলিশ জানায়, শ্যামবর্ণা ওই মহিলার বয়স প্রায় চল্লিশ। তাঁর নাক, কান ও মুখ থেকে রক্ত চুঁইয়ে পড়ছিল। ডান হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। হলুদ নাইলনের দড়ি জড়ানো ছিল গলায়। পরনে নীল শাড়ি ও লাল ব্লাউজ। হাতে কাচের চুড়ি। পুলিশের অনুমান, নামখানায় ট্রেনটি দাঁড়ালে দেহটি রাখা হয়। রেলপুলিশের এক কর্তা জানান, খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যাঁরা বড় ঝুড়িতে সব্জি ও ফল আড়তে পাঠান, তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। সব রেলপুলিশ থানা ও রাজ্যের অন্য থানাতেও ছবি পাঠানো হয়েছে শনাক্তকরণের জন্য।