ইকো পার্কের প্রতীকী ছবি
রাতের অন্ধকারে পাঁচিল টপকে ইকো পার্কে ঢুকে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। মত্ত অবস্থায় ঝিলে স্নান করতে নামেন। তার পর তলিয়েও যান।
কখন ওই ব্যক্তি ঢুকলেন, কখন জলে নামলেন— কিছুই টের পাননি নিরাপত্তাকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হয় ঘুনি উত্তরমাঠের বাসিন্দা বুদ্ধদেব মণ্ডলের দেহ। তার পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়।
ওই এলাকারই বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। ইকো পার্কের ৬ নম্বর গেট লাগোয়া এলাকায় নির্মাণের কাজ চলছে। কোথাও কোথাও পাঁচিলের অংশ ভেঙে গিয়েছে। রাত ৮ টায় ইকো পার্ক বন্ধ হয়ে গেলেই সেখান দিয়ে ঢুকে পড়েন স্থানীয় যুবকেরা। অনেক সময় মদের আসরও বসে বলে তাঁদের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘আন্টি’র ফ্ল্যাটের সামনে যেতেই গোঙানির শব্দ, তার পর…
নিউটাউন থানার পুলিশের দাবি, সোমবার রাতেও ঠিক একই ভাবে পাঁচিল টপকে ঢোকে বুদ্ধদেব। রাতে বাড়ি না ফেরায় বুদ্ধদেবের খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকজন। খবর যায় থানায়। খোঁজ শুরু হয়। ইকো পার্কের ৬ নম্বর গেটের কাছে ঝিলের পাশে সেই সময়ে উদ্ধার হয় বুদ্ধদেবের জুতো। পুলিশের সন্দেহ হয়, হয়তো ঝিলে নেমে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছেন। এর পরেই ঝিলে জাল ফেলেন স্থানীয়রা। নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ডুবুরিও। কয়েক ঘণ্টা তল্লাশির পর বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
দু’মাস আগে ইকো পার্কে ‘জয় রাইড’ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় বেশ কয়েক জন শিশু। গাফিলতির অভিযোগ ওঠে পার্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ বার ইকো পার্কে জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনাতেও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। ইকো পার্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বেসরকারি সংস্থা। রয়েছে সিসিটিভিও। তার পরেও কী ভাবে পাঁচিল চপকে ঢুকছে বাইরের লোকজন, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষ।