সেই কারখানায় পুলিশ। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।
সর্ষের তেলের কারখানার রিজার্ভারে পড়ে মৃত্যু হল ওই কারখানারই মালিকের। আহত আরও এক জন। বুধবার সকাল ন’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়ার কাছে ব্রহ্মপুরের সতীন্দ্রপল্লিতে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সঞ্জয় দাস (৪৬)। আহত রাহুল সাউ বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ জেনেছে, সঞ্জয় ওই কারখানার মালিক। পেশায় ফুচকা বিক্রেতা বছর আঠেরোর রাহুল এ দিন সকালে তেল কিনতে যান ওই কারখানায়। তখনই কোনও ভাবে রিজার্ভারে পড়ে যান তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান, রাহুলকে বাঁচাতে গিয়েই রিজার্ভারে পড়ে যান সঞ্জয়ও। তা দেখে চিৎকার করতে থাকেন সেখানে উপস্থিত কারখানার কর্মীরা। ছুটে আসেন আশপাশের লোকজনও। সকলে মিলে দড়ির সাহায্যে রাহুলকে তুলে ফেললেও সঞ্জয়কে তখন উদ্ধার করা যায়নি। খবর যায় পুলিশে। ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও দমকলকেও। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে উদ্ধার করে সঞ্জয়কে। গড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সঞ্জয়কে মৃত ঘোষণা করা হয়। রাহুলকে প্রথমে সেখানে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে বাইপাসের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় ঊষাপল্লির বাসিন্দা সঞ্জয় ভাল ফুটবল খেলতেন। এক সময়ে খেলেছেন ময়দানের প্রথম ডিভিশন ক্লাবেও। পরে তেলের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। সতীন্দ্রপল্লির একটি দোতলা বাড়িতে ছিল তাঁর কারখানা।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তেলের খোলা রিজার্ভার থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে কারখানাটি সরানো নিয়ে অনেক বার আর্জি জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’
১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওই তেল কারখানার মালিককে অনেক বার অন্যত্র সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। তিনি আশ্বাসও দিয়েছিলেন।’’ কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হবে।’’