মিলছে না অরোদীপের কোনও দাবি

যদিও বাজেয়াপ্ত হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের পাল্টা দাবি, অরোদীপের বক্তব্য ঠিক নয়। ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে পুলিশ জেনেছে, তিনি সেখানে ইন্টার্নশিপ করেননি। এ ছাড়া অরোদীপ যে ধরনের কোর্সের কথা জানান, তা ওই হাসপাতালে পড়ানোই হয় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৭ ০২:২২
Share:

ভুয়ো চিকিৎসক অভিযোগে ধৃত অরোদীপ চট্টোপাধ্যায় নিজেকে ক্যানসার গবেষক হিসেবে দাবি করেই চলেছেন। তার স্বপক্ষে তিনি সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ ও আমেরিকার এক প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত ডিগ্রি পাওয়ার দাবি করেছেন।

Advertisement

যদিও বাজেয়াপ্ত হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের পাল্টা দাবি, অরোদীপের বক্তব্য ঠিক নয়। ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে পুলিশ জেনেছে, তিনি সেখানে ইন্টার্নশিপ করেননি। এ ছাড়া অরোদীপ যে ধরনের কোর্সের কথা জানান, তা ওই হাসপাতালে পড়ানোই হয় না। বিধাননগরের এক পুলিশকর্তা জানান, আমেরিকার ওই প্রতিষ্ঠানের কাছেও অরোদীপ সম্পর্কে খোঁজ করা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানান, অরোদীপ যে চিকিৎসা করতেন ও কী ওষুধ দেওয়া হবে তা প্রেসক্রিপশনে লিখতেন— তেমন তথ্য মিলেছে। সে সব খতিয়ে দেখার জন্য অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে মঙ্গলবার আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সরকার পক্ষের আইনজীবী সাবির আলির দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিতেন রোগীদের।

Advertisement

অরোদীপের আইনজীবী সৌম্যজিৎ রাহা জানান, ক্যানসার মারণ রোগ। দীর্ঘ দিনের চেষ্টায় তার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে। তাঁর মক্কেলও সেই গবেষণায় যুক্ত। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দু’দফায় পুলিশি হেফাজতে ছিলেন তাঁর মক্কেল। যে সব অভিযোগ উঠছে, তা প্রমাণে তথ্যই অন্যতম মূল উপাদান। তাই অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি়। এর পরে বিচারক শুভ্রসোম ঘোষাল অরোদীপকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন