মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর ছবিতে কালি, বিক্ষোভ

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগানোর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (অর্থ) সোনালী চক্রবর্তীর ঘরের সামনে অবস্থান করেন তাঁরা। অভিযোগের তির এসএফআই-এর দিকে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে এসএফআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৯:০৭
Share:

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগানোর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (অর্থ) সোনালী চক্রবর্তীর ঘরের সামনে অবস্থান করেন তাঁরা। অভিযোগের তির এসএফআই-এর দিকে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে এসএফআই।

Advertisement

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার দাবিতে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে মিছিল করেন এসএফআই কর্মীরা। ওই দাবিতে সোনালীদেবীর কাছে স্মারকলিপি দেয় এসএফআই। দুপুর দু’টো নাগাদ ওই মিছিল বের হওয়ার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক টিএমসিপি-র সৌরভ অধিকারী অভিযোগ করেন, এসএফআই-এর কর্মীরাই শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগিয়েছে।

এই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই মিছিল করে সোনালী দেবীর ঘরের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। সৌরভ জানান, এসএফআই-এর কর্মীরা সকলেই বহিরাগত। তাঁর কথায়: ‘‘অশোক রুদ্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার ঘটনায় বহিরাগত নিয়ে বিতর্ক হয়, তা হলে এ ক্ষেত্রেও তো মিছিলকারীরা বহিরাগত। তাঁদের কেন ঢুকতে দেওয়া হল তা নিয়েও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’ এর পরেই তাঁর হুশিয়ারি, ‘‘এ ভাবে যদি বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢোকে এবং তার জেরে যদি ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয় তা হলে তার জন্য টিএমসিপি দায়ী থাকবে না।’’

Advertisement

ছবিতে কালি লাগানোর অভিযোগ অস্বীকার করে এসএফআই-এর রাজ্য সভাপতি মধুজা সেনরায় বলেন, ‘‘আমাদের কেউ এই কাজ করেনি। তবে টিএমসিপি যদি প্রমাণ করতে পারে আমরা ছবিতে কালি লাগিয়েছি, তা হলে আমরা নিজেরা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ক্যাম্পাসে লাগিয়ে আসব।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের একাংশ অবশ্য জানান, এসএফআই-এর মিছিল থেকে কাউকে শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগাতে দেখা যায়নি।

টিএমসিপি-র তরফে এ দিন কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। মঙ্গলবার উপাচার্য সুগত মারজিতকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানান সৌরভ।

ঘটনার পরে সোনালী দেবীর মম্তব্য, ‘‘উপাচার্য না থাকায় আমি দায়িত্বে ছিলাম। সে কারণেই এসএফআই-এর তরফ থেকে তিন জন আমার কাছে স্মারকলিপি দেন। তৃণমূলের তরফ থেকে কেউ আমার কাছে আসেনি। এর বেশি আমি কিছু জানি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement