প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন কলেজে ছাত্র-সংঘর্ষ ঠেকাতে সভা ডেকেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। সেই সভা ঘিরেই নতুন করে গোলমাল হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল।
উত্তর কলকাতার বিভিন্ন কলেজে ছাত্র-সংঘর্ষের ঘটনার নেপথ্যে বারবারই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। তা নিয়ে সোমবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে টিএমসিপি নেতা-কর্মীদের ওই সভা ডাকা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিএমসিপি সভানেত্রী জয়া দত্ত। টিএমসিপি সূত্রের খবর, সভা ঘিরে প্রভূত উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে গভীর রাত পর্যন্ত জয়াকে সেখানে আটকে পড়তে হয়। কিন্তু সভার জন্য রবীন্দ্রভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই মঙ্গলবার জানিয়েছেন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এমন কোনও সভা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা হয়েছে, তা জানতাম না। এর জন্য আমাদের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি।’’
উত্তর কলকাতার বিভিন্ন কলেজের ইউনিয়ন এখন টিএমসিপি-র দখলে। কিন্তু প্রতিটি কলেজেই নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে বলে অভিযোগ। তৃণমূল সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতার কলেজগুলিতে এলাকার দুই মন্ত্রীর খুবই প্রভাব। তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোল মাঝেমধ্যেই চরমে ওঠে বলে অভিযোগ। বিষয়টি থামাতেই সোমবার বৈঠক ডাকা হয়েছিল। টিএমসিপি উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দে-ও সেখানে ছিলেন। কিন্তু সভায় বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। তা গড়ায় বেশ রাত অবধি। এমনকী, সোমবার রাতের ঘটনার জেরে মঙ্গলবার জয়পুরিয়া কলেজর সামনে টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোল শুরু হয় বলে অভিযোগ। এক পড়ুয়ার নামে স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বারবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলিতে বহিরাগতদের ঢোকার বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। কেউ ঢুকতে চাইলে তাঁকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে হবে। কিন্তু রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যই জানাচ্ছেন, সোমবারের সভার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। রবীন্দ্রভারতী ক্যাম্পাসে সভা হয়েছে বলে এ দিন স্বীকারই করতে চাননি জয়া। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গেটের বাইরে কিছু ছাত্র আড্ডা দিচ্ছিল। আমি ওদের দেখে তখন দাঁড়িয়ে যাই। তেমন কিছু তো হয়নি।’’