গুজরাতে বন্ধুকে খুন করে টুকরো টুকরো করলেন যুবক। ৬ দিন পর উদ্ধার হয়েছে রমেশ মহেশ্বরীর দেহ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
ছ’দিন ধরে খোঁজ পায়নি পরিবার। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছিল। ছ’দিন পরে যুবককে পাওয়া গেল মৃত অবস্থায়। খণ্ড খণ্ড অবস্থায় তাঁর দেহাংশ মিলল নানা জায়গায়। অভিযোগ, এক যুবতীকে নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে গন্ডগোলের জেরে খুন হতে হয়েছে তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রমেশ মহেশ্বরী। নখটরানার মুরু গ্রামের বাসিন্দা ২০ বছরের ওই যুবক গত ২ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁকে পাওয়া যেতে পারে এমন সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়েছিল। কথা বলা হয় রমেশের পরিচিত এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। ওই সময় কিশোর নামে এক যুবকের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাঁকে চেপে ধরতেই জানা যায় খুনের কথা। ঘটনাক্রমে একটি জায়গা থেকে রমেশের পচাগলা দেহের একটি অংশ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, কুপিয়ে খুনের পর বন্ধুর দেহাংশ কেটে কেটে আলাদা করেছিলেন কিশোর। প্রমাণ লোপাট করতে সেগুলো বিভিন্ন জায়গায় ফেলেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জানিয়েছেন, এক মহিলাকে নিয়ে রমেশের সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয়েছিল। সেখান থেকে খুনোখুনি। পুলিশ জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে এক যুবতীর সঙ্গে কিশোরের আলাপ হয়। তাঁকে প্রায়শই মেসেজ করতেন কিশোর। একটা সময়ে প্রেম নিবেদনও করেন। তাতে সাড়া না পেয়ে বার বার মেসেজ করতেন। ওই যুবতী সে কথা কিশোরের বন্ধু রমেশকে জানান। সেখান থেকে দুই বন্ধুর গোলমাল শুরু হয়। আসলে দু’জনেই একই যুবতীকে পছন্দ করতেন।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, পছন্দের যুবতীর বিষয়ে আলোচনা করার নাম করে রমেশকে গ্রামের বাইরে ডেকে নিয়ে যান কিশোর। সেখানে রমেশকে খুন করে ছুরি দিয়ে তাঁর মাথা, হাত এবং পা কেটে আলাদা করা হয়। বন্ধুর শরীরের কিছু অংশ কেটে নালায় ফেলে দেন কিশোর। বাকিটা পুঁতে দেন মাটিতে।
অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জেরার জন্য আদালতে হাজির করাচ্ছে পুলিশ।