শিক্ষক প্রশিক্ষণে জমি-জট

জমি সঙ্কটে এ বার শিক্ষক হতে চাওয়া প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ। প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হতে চলেছে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা ডিএলএড। কিন্তু খাস কলকাতাতেই সেই প্রশিক্ষণের কেন্দ্র রয়েছে হাতে গোনা মাত্র ন’টি।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪০
Share:

জমি সঙ্কটে এ বার শিক্ষক হতে চাওয়া প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ।

Advertisement

প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হতে চলেছে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা ডিএলএড। কিন্তু খাস কলকাতাতেই সেই প্রশিক্ষণের কেন্দ্র রয়েছে হাতে গোনা মাত্র ন’টি। ফলে ভাঁজ পড়েছে স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তাদের কপালে। কারণ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করতে হলে প্রয়োজন আড়াই বিঘার বেশি জমি। কিন্তু শহরে একলপ্তে এই জমি পাওয়া দুষ্কর। জমি সঙ্কটের জেরে থমকে গিয়েছে নতুন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির কাজ।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, ২০০৯ থেকেই শিক্ষক নিয়োগে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে যে পরিমাণ শূন্যপদ তৈরি হয়, তার থেকে অনেক কম সংখ্যক প্রশিক্ষিত প্রার্থী মেলে। সে কারণে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কিছু বছরের ছাড়পত্র চায় রাজ্য। সেই সময়সীমাও পেরিয়েছে।

Advertisement

এনসিটিই-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে অনুমোদন পেতে হলে আড়াই বিঘা জমি প্রয়োজন। থাকতে হবে লাইব্রেরি-সহ পঠনপাঠনের সব সুবিধা। কলকাতায় এতটা জমি পাচ্ছেন না
পর্ষদের কর্তারা।

পর্ষদ সূত্রের খবর, কলকাতার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সবচেয়ে জরুরি। পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে এই শহরে মানুষ আসেন। কিন্তু এখানেই সবচেয়ে বেশি সঙ্কট।

পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এনসিটিই-র কাছে বহু বার আবেদন করা হয়েছে শহরের ক্ষেত্রে জমির শর্তটি লঘু করা হোক বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপরে ক্লাসঘর বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু তাঁরা সায় দিচ্ছেন না।’’ এনসিটিই-র এক কর্তা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কোনও প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হতে পারে। কিন্তু সার্বিক ভাবে নিয়ম বদল সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement