হাসপাতালে জখম চিকিৎসক জগদীশপ্রসাদ অগ্রবাল। নিজস্ব চিত্র
বিপদ কেটেছে। তবে এখনও আইসিইউ-তেই রয়েছেন রোগী-মৃত্যুর ঘটনায় প্রহৃত চিকিৎসক জগদীশপ্রসাদ অগ্রবাল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার ফুলবাগানের নার্সিংহোমে আক্রান্ত চিকিৎসক জগদীশপ্রসাদের একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার উপরে শুক্রবারের ঘটনার জেরে তাঁর শারীরিক অবস্থার যাতে অবনতি না ঘটে, তাই বাড়তি যত্ন নেওয়া হচ্ছে। শনিবার দিনভর তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। পরিস্থিতি একই রকম থাকলে রবিবার তাঁকে আইসিইউ থেকে বার করা হবে। তবে কবে তিনি ছুটি পাবেন, তা এখনই বলা যাবে না। চিকিৎসক জানান, শারীরিক ক্ষত সারলেও বৃদ্ধ চিকিৎসকের মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। জগদীশবাবুর ছেলে গোপাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘বিপদ কাটলেও এখনও বাবার শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক নয়। জানি না কবে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’’
শুক্রবার অমরনাথ জায়সবালের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফুলবাগানের এক নার্সিংহোমে ভাঙচুর ও চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। তার পরেই মৃতের পরিবারের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার তাঁদের শিয়ালদহ আদালতে ধৃতদের ১২ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়। আদালতের সিদ্ধান্তে খুশি বেঙ্গল নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশন ও চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানান, হাসপাতাল ভাঙচুর ও চিকিৎসককে হেনস্থার ঘটনায় কড়া শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা হলে এ ধরনের ঘটনা কমবে। শুক্রবারের ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের সংগঠনগুলি যৌথ ভাবে ওই নার্সিংহোম থেকে ফুলবাগান থানা পর্যন্ত মিছিলও করে। এ দিন একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ও ফুলবাগানের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে বলেন, ‘‘মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। অমরনাথবাবু আগেই অসুস্থ ছিলেন। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু নার্সিংহোম ভাঙচুর ও চিকিৎসককে মারধর, বরদাস্ত করা হবে না। সব অভিযোগ জানানোর নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে।’’