critical Operation

কৃষ্ণনগরের সেই কিশোরীর গলা থেকে বেরোল আর একটি সূচ!

কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অপরূপা বিশ্বাসের গলার ভিতরে ১০টি সূচ আটকে ছিল। ওই অবস্থাতেই এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই কিশোরীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৮ ১৯:৫৫
Share:

সফল অস্ত্রোপচারের পর কিশোরী।- নিজস্ব চিত্র।

আশঙ্কাই সত্যি হল। কৃষ্ণনগরের সেই কিশোরীর গলায় এক তান্ত্রিকই সূচ ঢুকিয়ে ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এখন সেই তান্ত্রিককে হন্যে হয়ে খুঁজছেন তদন্তকারী অফিসাররা। জেলা পুলিশের পাশাপাশি এই ঘটনায় কলকাতার এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অপরূপা বিশ্বাসের গলার ভিতরে ১০টি সূচ আটকে ছিল। ওই অবস্থাতেই এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই কিশোরীকে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, একটি গলার পিছনের দিকে আর বাকি ৯টি সূচ সামনের দিকে খাদ্যনালীর আশপাশে আটকে রয়েছে।

ওই কিশোরী সূচগুলি খেয়ে ফেলেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা করা হলেও, অস্ত্রোপচারের পরে চিকিৎসক মনোজ মুখোপাধ্যায় জানান, সূচগুলো বাইরে থেকেই ঢোকানো হয়। এক সপ্তাহ আগে ৯টি সূচ অস্ত্রোপচার করে বার করা হয়। আটকে ছিল আরও একটি। মঙ্গলবার ফের অস্ত্রোপচার করে আটকে থাকা বাকি সূচটিও বার করেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছে অপরূপা। আপাতত তাকে আইসিইউ-তে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক মনোজ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দু’টি অস্ত্রপচারই সফল। এখন অপরূপা বিপন্মুক্ত। তবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

Advertisement

অপরূপার বয়স মাত্র ১৪ বছর। প্রথমে তাকে কৃষ্ণনগরের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় বলে তাকে কলকাতায় রেফার করা হয়। এনআরএস হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখার পর একটি মেডিক্যাল টিম গঠিত হয়। কিন্তু ওই অস্ত্রোপচার নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিলেন চিকিৎসকেরা। অবশেষে ওই কিশোরীর গলায় বিপজ্জনক ভাবে আটকে থাকা সব সূচই বার করা সম্ভব হল।

আরও পড়ুন: ব্লু হোয়েলের পর নতুন মারণ-গেম মোমো, ছড়াচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে, আত্মঘাতী কিশোরী

পুলিশ সূত্রে খবর, তান্ত্রিকের বিষয়ে ওই কিশোরীর বাবা-মায়ের কাছেও জানতে চাওয়া হবে। তিন বছর আগে অপরূপার দাদার মৃত্যু হয়। এর পর একটি শিশুকন্যাকে দত্তক নেন ওই দম্পতি। সে-ও মারা যায়। তার পর থেকেই অপরূপার আচরণে বদল আসে। মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে ওই কিশোরী। তাকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতেই তান্ত্রিকের কাছে ওই দম্পতি গিয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন