প্রতীকী ছবি।
ঘরের ভিতরেই হঠাৎ এক দিন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বার কয়েক রক্তবমি হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসক মস্তিষ্কের কোনও সমস্যা আন্দাজ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরে ধরা প়ড়েছিল, মস্তিষ্ক নয়, জটিল সমস্যা রয়েছে লিভারে। এর পরে রোগীকে নিয়ে তাঁর পরিবার পৌঁছে যান চেন্নাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা করানো সত্ত্বেও অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। শেষমেশ প্রৌঢ়কে সুস্থ করল সোনারপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল।
হাও়ড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা, বছর তেষট্টির সুভাষচন্দ্র দাস গত ডিসেম্বরের সাত তারিখ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, তিনি ‘সিরোসিস অব লিভার’-এর সমস্যায় ভুগছেন। সুভাষবাবুকে চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও সুস্থ হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এর পরে ফের কলকাতায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে। তার পরে সোনারপুরের ওই লিভারের হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
শুক্রবার দুই চিকিৎসক মৌসম দে ও দীপঙ্কর মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে সুভাষবাবুর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। মৌসম জানান, ওই প্রক্রিয়ার নাম ‘ট্রান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টিওসিস্টেমিক শান্ট’ (টিপস)। অর্থাৎ, লিভারের মধ্যে দু’টি শিরায় এমন ভাবে রাস্তা তৈরি করা হয়, যাতে রক্তের চাপ না পড়ে। পাশাপাশি, রক্তক্ষরণও বন্ধ হয়। সুভাষবাবুর আত্মীয়া ডুলু দাস বলেন, ‘‘অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার ও অনিয়মের জেরেই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কোথাও ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছিলাম না আমরা। শেষ পর্যন্ত কলকাতাতেই অস্ত্রোপচার হল।’’