বেপরোয়া মত্ত ক্যাবচালকের হাতে নিগৃহীত হলেন কলকাতা পুলিশের দুই ট্র্যাফিক সার্জেন্ট। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ডের কাছে। তবে শুক্রবার রাতেই যাদবপুর থানার পুলিশ গুড্ডু রজক নামে ওই চালককে গ্রেফতার করেছে।
দোলের দিনই বড়তলা থানা এলাকার শোভাবাজারে হেলমেটহীন মত্ত দুই মোটরবাইক আরোহীকে ধরতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল দুই ট্র্যাফিক সার্জেন্টকে। তার দু’দিনের মাথায় যাদবপুরে ফের নিগ্রহ করা হল ট্র্যাফিক সার্জেন্টদের।
পুলিশ জানায়, যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডের দুই সার্জেন্ট নিলয় হালদার ও উমেশ মাহাতো ৮বি মোড়ে ডিউটি করছিলেন। সাড়ে সাতটা নাগাদ সুলেখা মোড়ের দিক থেকে বেপরোয়া একটি গাড়ি রাজা এস সি মল্লিক রোড ধরে এসে ৮বি মোড়ে লাল সিগন্যাল ভেঙে সজোরে এগিয়ে যায়। ওই সময়ে সার্জেন্ট উমেশ গাড়িচালককে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গাড়িচালক আরও জোরে চালিয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে ‘ইউ টার্ন’ করে ফের ৮বি-র দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। উমেশ ওয়াকিটকিতে ওই চালকের কথা জানান। নিলয় রাস্তায় গার্ড রেল দিয়ে গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশ জানায়, চালক এ বারেও ৮বি মোড়ের লাল সিগন্যাল ভেঙে সজোরে এগিয়ে যান এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালের ভিতরে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েন। মোটরসাইকেল নিয়ে তাকে ধাওয়া করেন সার্জেন্ট নিলয়। কিছুটা যাওয়ার পরে ওই গাড়িচালক হাসপাতালের ভিতরে ডোমপট্টিতে ঢুকে যান। মোটরসাইকেলে বসেই যাদবপুর থানায় খবর দেন ওই সার্জেন্ট। চালক গুড্ডুকে নাগালে পেয়ে তাঁর কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান সার্জেন্ট। লাইসেন্স দেখতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা বাধে ও সেই সময়ে নিলয়কে নিগ্রহও করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ দিয়ে গুড্ডুকে পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি নেশা করে রয়েছেন। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের কমিশনার সব থানা ও ট্র্যাফিক গার্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন, বাহিনীর কোনও কর্মীকে নিগ্রহ করা হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। সেই কারণে গুড্ডুর বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।