জমকালো: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের প্রতিমা। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
ধোঁয়া-বিপত্তির জেরে ১৪ ঘণ্টা বন্ধ প্রতিমা দর্শন!
উদ্বোধনের পরেই এ বছরের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ৩০ কেজি সোনার শাড়ি পরা দুর্গা প্রতিমা। কিন্তু বিপত্তি ঘটে নবমীর রাতে।
দমকল সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ শর্ট সার্কিটের জেরে মণ্ডপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়া। যদিও দমকলকর্তারা দ্রুত পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন। এর পরে মণ্ডপ পরিদর্শনে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। রাতে ঘটনাস্থলে আসেন সিইএসসি-র কর্তারাও। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। রাত ১২টা নাগাদ কলকাতা পুলিশ মণ্ডপ বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরেই এলাকা অশান্ত হয়ে ওঠে। শুক্রবার রাতে একাধিক বার পুলিশকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মণ্ডপ খোলার অনুরোধ জানান পুজো কমিটির লোকজন। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। শনিবার সকালে মণ্ডপ খোলার দাবিতে এলাকার বাসিন্দারা মুচিপাড়া থানা ঘেরাও করেন। শেষমেশ এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ পুলিশ মণ্ডপ খোলার অনুমতি দেয়। তার পরেই ফিরে আসে ভিড়ের চেনা ছবিটা।
আরও পড়ুন: ভাগবতের তোপে বাংলা-কেরল
যদিও অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পুজো কমিটির কর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, নবমীর রাত ১০টা থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে যাওয়ার একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দর্শনার্থীদের অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এর পরেই রাত ১২টা নাগাদ কয়েক জন পুলিশকর্মী আগুন লেগেছে বলে ঘোষণা করতে থাকেন এবং দর্শনার্থীদের মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মণ্ডপ। পুজো কমিটির তরফে প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। নবমীর সন্ধ্যা থেকেই পরিকল্পনা চলছিল। ১৪ ঘণ্টা পরে ফের মণ্ডপ খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুজোমণ্ডপের পাশে দমকল থাকে। সুরক্ষার সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে।’’
যদিও লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্যই মণ্ডপ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ষড়যন্ত্র নেই।’’