Arpita Mukherjee

Arpita Mukherjee: দরজা ভেঙে ঢুকল ইডি, পণ্ডিতিয়ার ফ্ল্যাটে রয়েছে অর্পিতা-যোগ, মিলবে কুবেরের ধন?

মঙ্গলবার পণ্ডিতিয়ার আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল ইডি। যার সঙ্গে যোগ ছিল অর্পিতার। দরজা খোলা যায়নি। বৃহস্পতিবার দরজা ভেঙে ঢুকল ইডি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২২ ১৪:৩৬
Share:

পণ্ডিতিয়ার ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙল ইডি।

পণ্ডিতিয়া রোডের একটি অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে মঙ্গলবার সকালে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ওই ফ্ল্যাটের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যোগসূত্র মিলেছিল বলে ইডি দাবি করে। ওই দিন ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে না পেরে তা ‘সিল’ করে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার ফোর্ট ওয়েসিসের ফ্ল্যাটের সেই দরজা ভেঙেই ভিতরে ঢুকলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ। ইডি ফ্ল্যাটে ঢোকার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়ার মতো অর্পিতার ‘যোগ’ থাকা এই ফ্ল্যাটেও কি মিলবে নগদ টাকা!

Advertisement

নকল চাবি তৈরি করেন এমন এক ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার পণ্ডিতিয়ার আবাসনে নিয়ে আসেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর নাম রজ্জাক সিপাই। তিনি বলেন, ‘‘ফ্ল্যাটে দু’টি দরজা ছিল। প্রথমটি স্টিলের এবং দ্বিতীয়টি কাঠের। স্টিলের দরজাটি ‘মেড ইন চায়না’। চাবি বানিয়ে খুলতে হয়েছে সেই দরজা। পরে ভাঙতে হয়েছে।’’

এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু দরজা ভাঙেননি তাঁরা। কারণ বেলঘরিয়া এবং টালিগঞ্জের মতো ওই ফ্ল্যাটটি অর্পিতার নামে নয়। ফ্ল্যাটের মালিক স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালা নামের এক মহিলা। তাঁর সঙ্গে চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। পরে স্থানীয় রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে ফিরে যান তাঁরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে ফের স্থানীয় থানায় গিয়ে কথা বলেন ইডি আধিকারিকেরা। জানান, পণ্ডিতিয়ার ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতে চান তাঁরা। এর পরেই ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে সেখানে যায় স্থানীয় থানার পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় ইডির অভিযান।

অন্য দিকে, ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা যাঁর নামে, সেই স্মিতা ২০০৭ সালে এটি কিনেছিলেন। তখন যে ঠিকানা ব্যবহার করে তিনি ফোর্ট ওয়েসিসের ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন, সেই ঠিকানায় গিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে স্মিতারা ওই ঠিকানায় থাকেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন