অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বেশি ভাড়া দিতেও রাজি ছিলেন প্রৌঢ়। কিন্তু ট্যাক্সিচালক নেশাগ্রস্ত থাকায় প্রতিবাদ করেন তিনি। তারই মাসুল হিসেবে ওই প্রৌঢ়কে জোর করে ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে ধাক্কা মেরে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠল চালকের বিরুদ্ধে। ওই প্রৌঢ় মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন। ঘটনাটি সোমবার সকালের। ট্যাক্সির নম্বর দিয়ে চালকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বরাহনগরের ব্যারিস্টার পি মিত্র রোডের বাসিন্দা পরিমল চট্টোপাধ্যায় এ দিন স্ত্রী স্বপ্নাদেবীকে নিয়ে আরজিকরে যাচ্ছিলেন। পরিমলবাবু জানান, বাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁরা একটি ট্যাক্সিকে আসতে দেখেন। অভিযোগ, আরজিকর যাবে কি না জানতে চাইলে চালক বলেন, মিটারে যাবেন না। ১৫০ টাকা দিতে হবে। পরিমলবাবু বলেন, ‘‘হাসপাতালে যাওয়ার তাড়া থাকায় ওই ভাড়া দিতে রাজি হই।’’
ওই প্রৌঢ় জানান, ট্যাক্সিতে উঠে চালকের সঙ্গে কথা বলতেই তিনি কটু গন্ধ পান। তিনি জানতে চান, কেন চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছেন? অভিযোগ, এর পরেই ওই প্রৌঢ় ও তাঁর স্ত্রীকে নেমে যেতে বলেন চালক। স্বপ্নাদেবী বলেন, ‘‘আমাদের প্রায় ধাক্কা মেরে নামিয়ে দেন চালক।’’ তখনই ছেলে পার্থবাবুকে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান পরিমলবাবু।
এর পরে পরিমলবাবু চালকের জানলার সামনে এসে জানতে চান, কেন তিনি এমন আচরণ করছেন। অভিযোগ, তা শুনে পরিমলবাবুকে ধাক্কা মেরে ফেলে প্রায় তাঁর উপর দিয়ে ট্যাক্সি নিয়ে চম্পট দেন চালক। প্রৌঢ়কে ওই ভাবে পড়ে যেতে দেখে চেঁচিয়ে ওঠেন পথচারীরা। হাত, পা ও মাথায় আঘাত পান পরিমলবাবু। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে আসেন তাঁর ছেলে পার্থবাবু। ওই প্রৌঢ়কে বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, পরে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ট্যাক্সির নম্বর দিয়ে অভিযোগ হয়েছে। চালকের খোঁজ চলছে।’’