এটিএমে জালিয়াতের খপ্পরে বৃদ্ধ

পুলিশ জানায়, এটিএম জালিয়াতির শিকার হয়েছেন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ম্যাক্সওয়েল ড্রপার। সাহায্যের নাম করে তাঁর এটিএম কার্ড পাল্টে প্রতারকেরা প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছে শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৪৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ফের প্রবীণদের ‘টার্গেট’ করে এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ শহরে। এ বার মেটিয়াবুরুজের পাহাড়পুর রোডে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, এটিএম জালিয়াতির শিকার হয়েছেন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ম্যাক্সওয়েল ড্রপার। সাহায্যের নাম করে তাঁর এটিএম কার্ড পাল্টে প্রতারকেরা প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছে শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে। বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাক্সওয়েল ওই জালিয়াতদের বিরুদ্ধে গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।

কী ভাবে হত এই জালিয়াতি? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ৬৩ বছরের ম্যাক্সওয়েল গত ৭ ডিসেম্বর পাহাড়পুর রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ চেষ্টা করেও টাকা তুলতে পারেননি। এর পরেই এটিএমে হাজির হয় এক যুবক। পুলিশের দাবি, বৃদ্ধকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়ে যুবকটি তাঁকে বলে, ‘‘আমি টাকা তুলে দিচ্ছি, কার্ডটা দিন। পিন বলুন।’’ ম্যাক্সওয়েল পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি যুবককে বিশ্বাস করে প্রথমে কার্ডটি দেন, পরে পিন-ও বলে দেন। বৃদ্ধের কথা মতো প্রায় ৭ হাজার টাকা তুলে দেয় ওই যুবক। পুলিশ জেনেছে, সেই টাকা গুনে নেওয়ার ফাঁকে ওই প্রতারক বৃদ্ধের কার্ডটি পাল্টে নেয়। তাঁকে অন্য একটি কার্ড দিয়ে, সেই কার্ডটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ম্যাক্সওয়েল চলতি সপ্তাহে ফের টাকা তুলতে ওই এটিএমে যান। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় তিনি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ব্যাঙ্ক জানায়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ওই বৃদ্ধ ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট থেকে জানতে পারেন, টাকা তোলা হয়েছে তাঁরই এটিএম কার্ড ব্যবহার করে। এর পরেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।

প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের দাবি, পিন এবং এটিএম কার্ড হাতিয়ে নেওয়ার পরে জালিয়াতেরা কার্ডের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরটিও পাল্টে নিয়েছিল। ফলে ওই বৃদ্ধ বুঝতে পারেননি, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মহেশতলা, টালিগঞ্জ সহ শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে জালিয়াতেরা টাকা তুলেছে। ওই সব এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকে এমন ভাবেই এটিএম জালিয়াতির একটি চক্রের খোঁজ পেয়েছিল ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয় চক্রের দুই সদস্য বিনোদকুমার সাউ ওরফে মঙ্গল এবং ভীম মণ্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, এই ধরনের প্রবণতা আটকাতে গ্রাহকদের টাকা তোলার সময়ে কোনও অপরিচিত ব্যক্তির সাহায্য নিতে বারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সব এটিএমেই যাতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে লালবাজার জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন