দেবকুণ্ডে নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ার

স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন এক ইঞ্জিনিয়ার। শনিবার ওড়িশার সিমলিপালের দেবকুণ্ডের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ যুবকের নাম রাজীব ঘোষ। বাড়ি দমদম ক্যান্টনমেন্ট নতুনবাজারের মনসামন্দির এলাকায়। তিনি সল্টলেক পাঁচ নম্বর সেক্টরের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করতেন।

Advertisement

রাজীব ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৪ ০৩:২২
Share:

স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন এক ইঞ্জিনিয়ার। শনিবার ওড়িশার সিমলিপালের দেবকুণ্ডের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ যুবকের নাম রাজীব ঘোষ। বাড়ি দমদম ক্যান্টনমেন্ট নতুনবাজারের মনসামন্দির এলাকায়। তিনি সল্টলেক পাঁচ নম্বর সেক্টরের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করতেন। রাজীবের বাবা-মায়ের বক্তব্য, তাঁদের ছেলে নিখোঁজের পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বালেশ্বর থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। রবিবার রাত পর্যন্ত রাজীবের খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

রাজীবের পরিবার জানিয়েছে, শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস এবং তার পরে শনি-রবিবার দু’দিন ছুটি মেলায় রাজীব, তাঁর পাড়ার তিন বন্ধু ও এক সহকর্মী মিলে ওড়িশায় বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। রবিবারই তাঁর ফেরার কথা ছিল। শুক্রবার হাওড়া থেকে ফলকনামা এক্সপ্রেস ধরে তাঁরা বালেশ্বরে পৌঁছন। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর গিয়ে ‘শকুন্তলা গেস্ট হাউসে’ উঠেছিলেন। রাজীবের বাবা নিখিল ঘোষ জানান, বালেশ্বরে পৌঁছে রাজীব ফোন করেছিল এবং পরের দিনের দেবকুণ্ডে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল। তার পর আর ফোন আসেনি। শনিবার সন্ধ্যায় রাজীবের মামাতো ভাইকে ফোন করে রাজীবের বন্ধুরা জানান, দেবকুণ্ডে গিয়ে নিখোঁজ ওই যুবক।

রাজীবের বন্ধুরা তাঁর পরিবারকে জানান, শনিবার সকালে ৫ জনে মিলে দেবকুণ্ডে যান। সেখানে তাঁরা সবাই ঝর্নার জলে স্নান করতে নেমেছিলেন। মাঝখানে এক বার রাজীবকে তাঁরা একটি পাথরের উপরে বসে থাকতে দেখেন। পরে আর দেখতে পাননি। এর পর বন্ধুরাই বালেশ্বর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শনিবার রাতেই রাজীবের বাবা ও কয়েক জন আত্মীয় বালেশ্বরে রওনা হয়েছেন।

Advertisement

রাজীবের পরিবার জানিয়েছে, রাজীবের খোঁজে রবিবার ঝর্নার পাশের জলাধারে ডুবুরি নামানো হয়েছিল। কিন্তু আড়াইশো ফুট গভীর জলাধারে দীর্ঘ ক্ষণ তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি। এর পরে হায়দরাবাদ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দলকে ডেকেছে পুলিশ। এখানেই রহস্য দানা বেঁধেছে বলে রাজীবের পরিবারের অভিযোগ। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজীব ছোটবেলা থেকেই সাঁতার জানতেন। নিখোঁজ রহস্য নিয়ে রাজীবের সঙ্গীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রাজীবের আত্মীয়েরা জানান, উত্তর ২৪ পরগনার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থায় যোগ দেন। গত এপ্রিল মাসে নতুন সংস্থার চাকরি নিয়ে শহরে ফিরেছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন