লুকিয়ে কলেজে নজর, তদন্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

কলেজ সূত্রের খবর, নানা ধরনের অভিযোগ এবং কলেজের অভ্যন্তরীণ গোলমালের জেরে গত ২৬ নভেম্বর সত্রাজিৎবাবুকে সাসপেন্ড করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ০৪:২০
Share:

কলেজ সূত্রের খবর, নানা ধরনের অভিযোগ এবং কলেজের অভ্যন্তরীণ গোলমালের জেরে গত ২৬ নভেম্বর সত্রাজিৎবাবুকে সাসপেন্ড করা হয়।

কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সাসপেন্ড হতে হয়েছিল এক অধ্যক্ষকে। পদ থেকে সরে গিয়েও তিনি কলেজে নজরদারি বজায় রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। এবং এ-ও অভিযোগ উঠেছে, নজরদারির জন্য বেআইনি ভাবে সাইবার মাধ্যমকে ব্যবহার করেছেন তিনি। এ নিয়ে ওই কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষা অনুরাধা ঘোষের আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানার ওসিকে সত্রাজিৎ ঘোষ নামে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

Advertisement

ঘটনাটি দক্ষিণ কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজের। কলেজ সূত্রের খবর, নানা ধরনের অভিযোগ এবং কলেজের অভ্যন্তরীণ গোলমালের জেরে গত ২৬ নভেম্বর সত্রাজিৎবাবুকে সাসপেন্ড করা হয়। তার পরে কলেজের দায়িত্ব নেন অনুরাধাদেবী। কিন্তু সত্রাজিৎবাবু তাঁর ঘরে তালাচাবি দিয়ে চলে যান।

অনুরাধাদেবীর দাবি, বারবার চাবি চেয়েও ফেরত পাননি তিনি। বিষয়টি টালিগঞ্জ থানাতেও জানানো হয়েছিল। জানুয়ারি মাসে অনুরাধাদেবীর হাতে একটি বিল আসে। তাতে বলা হয়েছিল, অধ্যক্ষের ঘরে একটি যন্ত্র বসানো হয়েছে। কী সেই যন্ত্র, তার খোঁজ করতে গিয়ে অনুরাধাদেবীরা জানতে পারেন, সেটি শক্তিশালী ওয়াইফাই-সহ এমন একটি যন্ত্র, যা দিয়ে দূরে বসেও কেউ তাঁর মোবাইলে সিসিটিভি-র ছবি দেখতে পাবে। ঘটনাচক্রে গত ২৬ নভেম্বরই সেই যন্ত্র বসানো হয়েছিল।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অনুরাধাদেবীর আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, সেই ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পরে এ নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আর্জি জানানো হয়। বিভাসবাবুর বক্তব্য, পদে না থেকে এ ভাবে নজরদারি চালানো যায় না। তা ছাড়া, কলেজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। সেগুলির ফুটেজ মোবাইলে নেওয়া হলে কলেজের ছাত্রী, শিক্ষিকা এবং মহিলা কর্মীদের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। সেটি আইনের দিক থেকেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বিভাসবাবু বলছেন, ‘‘কোনও কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এমন কাজের অভিযোগ আমি আগে শুনিনি।’’

বিচারক তাঁর নির্দেশে লিখেছেন, এই মামলাটি প্রযুক্তিগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ধরনের অভিযোগের তদন্তে সাইবার পারদর্শিতা প্রয়োজন। সেই কারণেই তিনি সাইবার থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন।

এই অভিযোগ এবং মামলা রুজুর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সত্রাজিৎবাবুর বক্তব্য, ‘‘আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। এ বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানি না।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, কলেজের নিরাপত্তার জন্যই ওই যন্ত্রটি বসানো হয়েছিল। তাঁর কম্পিউটারের সঙ্গেও সেটি সংযুক্ত করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement