সিবিআই অফিসার সেজে লুঠ

দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি অফিসারদের বমাল ধরতে অনেক সময় ফাঁদ পাতেন সিবিআই অফিসারেরা। এ বার সিবিআই অফিসারদেরই ভেক ধরে কয়েক জন প্রতারক প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যায়, গিরিশ পার্ক এলাকার প্যারীমোহন পাল লেনে। খোঁজ চলছে অভিযুক্ত তিন যুবকের। তবে যাঁদের থেকে গয়না ছিনতাই হয় বলে অভিযোগ, তাঁদের বক্তব্যে অসঙ্গতি পেয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৪ ০৩:১০
Share:

দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি অফিসারদের বমাল ধরতে অনেক সময় ফাঁদ পাতেন সিবিআই অফিসারেরা। এ বার সিবিআই অফিসারদেরই ভেক ধরে কয়েক জন প্রতারক প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যায়, গিরিশ পার্ক এলাকার প্যারীমোহন পাল লেনে। খোঁজ চলছে অভিযুক্ত তিন যুবকের। তবে যাঁদের থেকে গয়না ছিনতাই হয় বলে অভিযোগ, তাঁদের বক্তব্যে অসঙ্গতি পেয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানায়, সোমবার প্যারীমোহন পাল লেনের একটি অলঙ্কার প্রস্তুতকারক সংস্থার অফিস থেকে কয়েক কোটি টাকার গয়না পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল ক্যামাক স্ট্রিটের একটি অলঙ্কার-বিপণিতে। দায়িত্বে ছিল বেনিয়াপুকুরের একটি ক্যুরিয়র সংস্থা। সংস্থার দুই প্রতিনিধি দু’টি ব্যাগে তিনটি ‘সিল’ করা বাক্সে গয়না নিয়ে রওনা দেন হন। তবে সংস্থার অফিস থেকে বেরিয়ে একটু এগোতেই তাঁদের সামনে এসে দাঁড়ায় তিন যুবক। তারা নিজেদের সিবিআই অফিসার বলে পরিচয় দেয়। পুলিশের কাছে ক্যুরিয়র সংস্থার প্রতিনিধিদের দাবি, ওই তিন জন বলে, তারা খবর পেয়েছে ব্যাগে বিস্ফোরক আছে, তাই পরীক্ষা করে দেখা হবে। ক্যুরিয়র সংস্থার দুই প্রতিনিধি পুলিশকে জানান, সব শুনে তাঁরা এমন হতভম্ব হয়ে যান যে সিবিআই অফিসারের পরিচয়পত্র দেখার কথাও মনে হয়নি। ইতিমধ্যে ওই তিন জন তাঁদের কাছ থেকে ব্যাগ নিয়ে গয়নার বাক্সগুলি বার করে সিল ভেঙে দেয়। ‘তল্লাশি’ শেষে ওই তিন জন চলে যায়।

পুলিশ জেনেছে, বাক্সগুলিতে প্রথমে ৩৩৬টি প্লাস্টিকের প্যাকেটে কয়েক কোটি টাকার গয়না ছিল। পুলিশের দাবি, দেখা যায় বাক্সে ২৮টি প্যাকেটের হদিস নেই। গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থাটির ম্যানেজার তারাশঙ্কর পোদ্দার মঙ্গলবার জানান, খোয়া যাওয়া গয়নার মূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। ক্যুরিয়র সংস্থার ম্যানেজার তপন দত্ত রাতেই থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশের দাবি, ক্যুরিয়র সংস্থার দুই প্রতিনিধির কথায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, যেখানে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ, সেখানে ওই সময়ে ভিড় থাকে। অথচ পুলিশ কোনও প্রত্যক্ষদর্শীর সন্ধান এখনও পায়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন