—প্রতীকী ছবি।
সংসার খরচ বাড়বে বলে অন্তঃসত্ত্বা বধূকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। চলছিল মারধর এবং অত্যাচারও। শেষে মারের চোটে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বধূর ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যায়। ঘটনার পরে অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বধূর শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার পরে নিখোঁজ বধূর স্বামী।
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানায়, দাসপাড়ার বাসিন্দা অঞ্জু গায়েন নামে ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর শ্বশুর অশোক গায়েন ও শাশুড়ি প্রতিমা গায়েন গ্রেফতার হয়েছে। খোঁজ চলছে স্বামী অপূর্ব গায়েনেরও। মারধরের জেরে ওই বধূর ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানায়, চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন অঞ্জু। ২০১৬ সালে বিধাননগর এলাকার বাসিন্দা অঞ্জুর সঙ্গে অপূর্বের বিয়ে হয়। অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি অঞ্জুকে গর্ভপাত করাতে চাপ দিতেন। সংসারে আর্থিক অনটন রয়েছে। তাই সন্তানের জন্ম দেওয়া যাবে না বলে অত্যাচার করা হত বলে ওই বধূর অভিযোগ।
অঞ্জু পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১৬ জানুয়ারি সকালে শ্বশুর অশোকবাবু ফের তাঁকে গর্ভপাতের কথা বলেন। অঞ্জু রাজি না হওয়ায় শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করে। এমনকি একাধিক বার পেটে লাথিও মারা হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে অঞ্জুকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ও পরে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে মারের চোটে অঞ্জুর ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। অঞ্জুর পরিজনদের দাবি, মারধরের ঘটনার পরে তাঁরাই অসুস্থ অঞ্জুকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরিজনেরা জানান, অপূর্ব পেশায় গাড়িচালক। রোজগার কম। অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অপূর্বও কয়েক বার অঞ্জুকে মারধর করেন। ঘটনার পরের দিন শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।