প্রতীকী ছবি
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর শ্বশুরকে শুক্রবার গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায় ধৃত আবু জব্বার মোল্লার বিরুদ্ধে তাঁর জামাই মনিরুল ইসলামকে (৩৫) খুনের অভিযোগ উঠেছে। ধৃতের বাড়ি হাতিশালার উত্তরপাড়ায়। শুক্রবার সকালে নিউ টাউন বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে জব্বারকে গ্রেফতার করে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত মাসে জব্বারের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী মনিরুল। তিনি আদতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশীপুর থানার গুচড়িয়ার বাসিন্দা। তবে বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে হাতিশালায় শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তিনি। গত ৭ জানুয়ারি কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার হাতিশালা সিক্স লেনের কাছে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মনিরুলকে। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান। এর পরে তাঁর পরিজনদের তরফে মনিরুলের শ্বশুর-সহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির পাঁচ জন সদস্যের বিরুদ্ধে মারধর করে এবং বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ করা হয়। তার পর থেকেই অভিযুক্তদের খোঁজ করছিল পুলিশ। এ দিন জব্বারকে গ্রেফতার করা গেলেও বাকি চার অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজ করছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পরে পুলিশ জানায়, মনিরুলের সঙ্গে কিছু বিষয়ে বিরোধ বেঁধেছিল জব্বার-সহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। জব্বারের দুই মেয়ের সঙ্গে মনিরুল দুর্ব্যবহার করেছেন, এই অভিযোগে তাঁকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। গত ৬ জানুয়ারি তাঁকে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর তার পরের দিন অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মনিরুলকে। এক তদন্তকারী জানান, মনিরুলকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে না তিনি নিজেই বিষ খেয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ধৃতকে জেরা করা হলে পুরোটা পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্বশুরবাড়ি থেকে ছাড়া পেয়ে এক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মনিরুল। সেই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মনিরুলের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে কোনও সূত্র মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।