অবশিষ্ট টুকু বাচানোর চেষ্টা।
বাগড়ি মার্কেটের আগুনে পুড়েছে। ওষুধের বড় বড় দোকানও। তার প্রভাব রাজ্যের ওষুধ-বাজারে পড়বে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা।
বাগড়ি মার্কেট রাজ্যের অন্যতম বড় পাইকারি ওষুধ-বাজার। ১৫০-২০০টি ওষুধের দোকান আছে সেখানে। সেই দোকান-মালিকেরা ‘ডিস্ট্রিবিউটর’ হিসেবে পরিচিত। তাঁদের কাছ থেকে জেলা তো বটেই, কলকাতার বহু ছোট ডিস্ট্রিবিউটরও ওষুধ নেন। তার পরে তা খুচরো বাজারে যায়। জীবনদায়ী বহু ওষুধ (ক্যানসার, কিডনি, ডায়াবিটিস) থাকে সেখানে। দিনে দেড়-দু’লক্ষ টাকার কেনাবেচা হয়। শনিবার কেনাবেচার নগদ টাকা দোকানে রেখে যাওয়াটাই রেওয়াজ। সোমবার দোকান খোলার পরে ব্যাঙ্কে তা জমা দেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার রাতে আগুন লাগায় ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে নগদ টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
বাগড়ি মার্কেটে চন্দ্রেশ সঙ্ঘভির চারটি ওষুধের দোকান। তিনি বলেন, ‘‘আমার দু’টি দোকান পুড়ে গিয়েছে। বাকি দু’টোর পরিস্থিতি জানি না।’’ ফার্মাসিউটিক্যাল ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সম্পাদক জয়দীপ সরকার বলেন, ‘‘সারা রাজ্যেরই ওষুধ ব্যবসা কয়েক মাসের জন্য সমস্যায় পড়তে পারে। কারণ, বাগড়ি মার্কেট থেকে খুচরো বাজারে ওষুধ তো যায়ই। ছোট ডিস্ট্রিবিউটরেরা এখান থেকেই ওষুধ নিয়ে যান।’’ আগুন যা পোড়ার সে তো পুড়েছেই। জলেও বহু ওষুধ নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন তাঁরা। ক্ষতি হয়েছে নথিপত্রেরও। সব নতুন করে সাজাতে কয়েক মাস লাগবে। তার আগে ওষুধ সরবরাহের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। তাই অন্য কোথাও যাতে ওষুধ মজুত করার সুযোগ দেওয়া হয়, রাজ্যের কাছে সেই আবেদন করা হবে বলে জানান সংগঠনের কর্তারা। ওষুধবাহী গাড়ি যাতে দ্রুত আসতে পারে, সেই বিষয়েও কথা বলতে চান তাঁরা।