ভোরের অগ্নিকাণ্ডে ছাই খালধারের ১১ দোকান

স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্রশেখর দাস জানান, ভোর চারটে নাগাদ খালধারের রাস্তা ধরে বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। জগৎপুর অটোস্ট্যান্ড ছাড়িয়ে কিছুটা এগোতেই তিনি দেখেন, একটি চায়ের দোকানে আগুন লেগেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০০:১৮
Share:

হতাশ: পোড়া জিনিসের সামনে বসে দোকানদার। বুধবার, জগৎপুরে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।

ভোরের অগ্নিকাণ্ডে বাগুইআটি থানার অন্তর্গত জগৎপুরের খালধারে ছাই হয়ে গেল ১১টি দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। দমকলের আটটি ইঞ্জিন প্রায় সাত ঘণ্টা লড়াই চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কেউ হতাহত হননি।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্রশেখর দাস জানান, ভোর চারটে নাগাদ খালধারের রাস্তা ধরে বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। জগৎপুর অটোস্ট্যান্ড ছাড়িয়ে কিছুটা এগোতেই তিনি দেখেন, একটি চায়ের দোকানে আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই পুলিশ ও দমকলে খবর দেন পেশায় অটোচালক ওই ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রের খবর, চায়ের দোকানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। মুহূর্তের মধ্যে অতুল বিশ্বাস, অনিমেষ মণ্ডল, কমল হালদার, কমল মণ্ডল, অমূল্য বিশ্বাস, সুমন অধিকারী, নীহার হালদারদের দোকান আগুনের গ্রাসে চলে যায়। কারও মোবাইল, কারও জুতোর দোকান। কারও আবার ছিল পোশাকের ব্যবসা। কাপড়ের ব্যবসায়ী কমল ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না দোকানের পিছনেই একটি ঘরে থাকেন। এ দিন স্বপ্না বলেন, ‘‘দরজা খুলতেই দেখি আগুন। বালতির জল ঢেলে নেভানোর চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। জামাকাপড়, টাকা, আধার-ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্কের নথি— সব চলে গেল!’’

ক্ষতিগ্রস্ত আর এক ব্যবসায়ী পরিমল মৃধা বলেন, ‘‘প্রায় তিনতলা বাড়ির সমান আগুনে বাতিস্তম্ভের তার পুড়ে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, সিলিন্ডারের খোল খালের ও পারে গিয়ে পড়ে।’’ চায়ের দোকানের পিছনেই ওই খালে ডেঙ্গির মরসুমে মশা মারার তেল ছড়ানোর জন্য বিধাননগর পুরসভার নৌকা বাঁধা ছিল। আগুনে সেটিরও কিছু অবশিষ্ট নেই। পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের খবর নেই। আগুন কী ভাবে লাগল, রাত পর্যন্ত জানা যায়নি।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement