'৯৭য়ের স্মৃতি উসকে ফের আগুন বইমেলায়, তবে অল্পেই রক্ষা

১৯ বছরের পুরনো আতঙ্ক ফের এক বার ফিরে এল কলকাতা বইমেলায়। বিধ্বংসী আগুনে সে বার বইমেলা ছারখার হয়ে গিয়েছিল। এ বার দমকলের তত্পরতায় বড় ক্ষয়ক্ষতি তেমন না হলেও ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে একটি কফি স্টল। অল্পের জন্য রক্ষা পেল গোটা মিলন মেলা প্রাঙ্গন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ১০:৪২
Share:

পুড়ে যাওয়া সেই স্টল। ছবি: শৌভিক দে।

১৯ বছরের পুরনো আতঙ্ক ফের এক বার ফিরে এল কলকাতা বইমেলায়। বিধ্বংসী আগুনে সে বার বইমেলা ছারখার হয়ে গিয়েছিল। এ বার দমকলের তত্পরতায় বড় ক্ষয়ক্ষতি তেমন না হলেও ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে একটি কফি স্টল। অল্পের জন্য রক্ষা পেল গোটা মিলন মেলা প্রাঙ্গন।

Advertisement

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বইমেলায় ২৩২ নম্বর স্টলের উল্টো দিকের একটি কফি শপ খেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পুলিশ ও দমকলবাহিনীকে খবর দেন তাঁরা। মিলনমেলাতেই বইমেলার জন্য দমকলের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখান থেকে দুটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। মিনিট পাঁচেকের চেষ্টায় সম্পূর্ণ নিভে যায় আগুন। কফির দোকানটি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাশের আর একটি স্টলও। তবে বইয়ের স্টলগুলি নিরাপদে আছে বলেই জানা গেছে। শর্ট সার্কিট না কি অন্য কিছু, কী কারণে আগুন লেগেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বইমেলার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, “ মাঠে নতুন পার্কিং লটের কাছে একটি কফির দোকানে আগুন লেগেছিল। তবে মিনিট পাঁচেকের চেষ্টাতেই তা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বইমেলা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।”

Advertisement

দেখুন:
বইমেলার পোড়া স্টলের ছবি

বইমেলায় আনন্দ পাবলিশার্স যে দিকে সেই দিকে এই কফিশপটি। ফুড পার্ক ছাড়া বইমেলায় ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা এই ফুড স্টলগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক কিন্তু বেশ পুরনো। ত্রিদিব বাবু জানিয়েছেন, রাজ্য শিল্প দফতরের শাখা ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড প্রমোশন অর্গানাইজেশন অনুমোদিত নির্দিষ্ট জায়গাতেই এই স্টলগুলির করার অনুমতি দেওয়া হয়। তা ছাড়া বইমেলার আয়তন এতটাই বড়, যাবতীয় খাবার দাবার শুধুমাত্র ফুডকোর্টেই সীমাবদ্ধ রাখলে এক কাপ চা বা কফির জন্যও সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ বছর এই খাবারের স্টলগুলির সংখ্যা ৩০ থেকে কমিয়ে ২৭ করা হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী মেলায় এই স্টলগুলিতে সরাসরি আগুনের ব্যবহার করা যায় না। ব্যবহার করতে হয় ইনডাকশন কুকার বা মাইক্রোওয়েভ ওভেন। কিন্তু অভিযোগ, চোরাগোপ্তা পথে মাঝেমাঝেই মেলায় ঢুকছে গ্যাস সিলিন্ডার। গত কালই উদ্ধার হয়েছে এমনই দুটি সিলিন্ডার। তার পরেই এ দিনের ঘটনা। যত ছোটই হোক না কেন, বইমেলার সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন কিন্তু রয়েই গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন