এনআরএসে আগুন

সারি সারি গ্যাস সিলিন্ডার। পাশাপাশি জ্বলছে একের পর এক উনুন। চলছে রোগীদের রান্না। সকালের এই ব্যস্ততার মধ্যেই হঠাৎ আগুন লাগল এনআরএস হাসপাতালের রান্নাঘরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০১:১০
Share:

বিপদ-জাল: অঘটনের অপেক্ষায়। মধ্য কলকাতায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী

সারি সারি গ্যাস সিলিন্ডার। পাশাপাশি জ্বলছে একের পর এক উনুন। চলছে রোগীদের রান্না। সকালের এই ব্যস্ততার মধ্যেই হঠাৎ আগুন লাগল এনআরএস হাসপাতালের রান্নাঘরে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই অবশ্য কর্মীদের তৎপরতা ও অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থার সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হতাহতের খবর নেই।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ ঘটে যাওয়া ঘটনার আতঙ্কের ছাপ রাত পর্যন্ত ছিল কর্মীদের চোখে-মুখে। ‘‘আগুন ছড়ালে বড় বিপদ হয়ে যেত। আর একটা আমরি-কাণ্ড হয়ে যেতে
পারত আজই,’’— বললেন এক আতঙ্কিত কর্মী।

হাসপাতালে রোগীদের রান্নাঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রসেনজিৎ ঘোষ জানালেন, রোজই পরীক্ষা করে দেখা হয় সিলিন্ডারের পাইপগুলি। কোনও কারণে একটি সিলিন্ডারের পাইপে
এ দিন আগুন লাগে। ‘‘রান্নাঘর বলেই বিপদের সম্ভাবনা বেশি ছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় কারওরই মাথা কাজ করছিল না। কিন্তু সময় মতো কাজে লাগানো গিয়েছে অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা। তাই বাঁচোয়া।’’ — বলছেন প্রসেনজিৎবাবু।

Advertisement

সুরজিৎ প্রহরাজ মহাপাত্র নামে এক রাঁধুনি জানান, ওই সিলিন্ডারের উনুনেই রান্না করছিলেন তিনি। ‘‘হঠাৎই আগুন ধরে গেল। সঙ্গে সঙ্গে বস্তা, কাপড় — হাতের কাছে যা ছিল তাই দিয়ে আগুন চাপা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছুতেই সেই আগুন নিভছিল না। জল খুঁজছিলাম। সে সব করতে করতেই অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র নিয়ে এগিয়ে এলেন অন্য কর্মীরা।’’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অগ্নি-সুরক্ষার দিকটি সব সময়েই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। সাবধানতা থাকার জন্যই এ দিন আরও বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন