লাইসেন্স দুর্নীতিতে কর্তার বাড়ি তল্লাশি

দমকল-লাইসেন্স দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার তিন অফিসার। এ বার সেই ঘটনায় দমকলের অধিকর্তা-সহ দুই পদস্থ কর্তার বাড়িতেও হানা দিলেন রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখার (এসিবি) অফিসারেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৫ ০১:৩১
Share:

দমকল-লাইসেন্স দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার তিন অফিসার। এ বার সেই ঘটনায় দমকলের অধিকর্তা-সহ দুই পদস্থ কর্তার বাড়িতেও হানা দিলেন রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখার (এসিবি) অফিসারেরা। এসিবি সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দাদের একটি দল দমকল অধিকর্তা গৌরপ্রসাদ ঘোষের কোয়ার্টার্সে যায়। মাঝরাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে নগদ দেড় লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। তল্লাশি হয়েছে দমকলের এক ডিভিশনাল অফিসারের ফ্ল্যাটেও। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

Advertisement

নৈহাটির এক হোটেল ব্যবসায়ীকে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য দমকলের ইনস্পেক্টর বাসুদেব গঙ্গোপাধ্যায় ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এসিবি-র অফিসারেরা জানাচ্ছেন, ওই ব্যবসায়ী ভবানী ভবনে রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখার অফিসে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফাঁদ পেতে বাসুদেববাবু-সহ দু’জন ইনস্পেক্টর ও এক জন করণিককে হাতেনাতে ধরা হয়। শনিবার রাতে বাসুদেববাবুর বাড়ির দেওয়াল খুঁড়ে ৫০ লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু আর্থিক নথি মেলে। রবিবার বাসুদেববাবুর পরিজনেরা অবশ্য দাবি করেছেন, পুলিশ কিছুই পায়নি।

এসিবি সূত্রের খবর, বাসুদেববাবুকে জেরা করেই এই দুর্নীতির সঙ্গে উচ্চকর্তাদের একাংশের যোগসাজশের ইঙ্গিত মিলেছে। এ দিন এসিবি-র তল্লাশির কথা মেনে নিলেও অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ করেছি।’’

Advertisement

দমকলের একাংশ এ-ও বলছে, লাইসেন্স নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। বাম জমানায় দফতরের শীর্ষকর্তাদের হাতেই এমন কয়েক জন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার ধরা পড়ে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। এই জমানাতেও নালিশ আসায় কয়েক জন কর্তা বদলি হন। ‘‘কিন্তু ঘুষ নিতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা দমকলের ইতিহাসে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছি না,’’ বলছেন এক প্রাক্তন অধিকর্তা। দমকলের ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখার তদন্তে আমরা সব রকম সহযোগিতা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement