কারখানায় আগুন, আতঙ্ক

আচমকাই পটকা ফাটার মতো একের পর এক শব্দে শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কেঁপে উঠেছিল কলেজ স্ট্রিট সংলগ্ন শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট। আশপাশের লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে দেখেন একটি বাড়ির দোতলায় থাকা একটি কারখানায় আগুন লেগেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:১৩
Share:

আচমকাই পটকা ফাটার মতো একের পর এক শব্দে শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কেঁপে উঠেছিল কলেজ স্ট্রিট সংলগ্ন শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট। আশপাশের লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে দেখেন একটি বাড়ির দোতলায় থাকা একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। বার করে আনা হয় ওই বাড়ির বাসিন্দাদের। পরে দমকলের চারটি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টার মধ্যে আগুন আয়ত্তে আনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান শহরের মেয়র তথা দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

স্থানীয়েরা জানান, যে ঘরটিতে আগুন লাগে সেখানে কাপ, শিল্ড পালিশ ও রঙের কাজ হয়। বাসিন্দা সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘উল্টো দিকে একটি ব্যাঙ্কের কার্যালয়ে অগ্নিনির্বাপণের জন্য থাকা জলের পাইপ দিয়ে জল দিতে শুরু করি। আশেপাশের বাড়ির ছাদ থেকেও জল দেওয়া হয়।’’ ঘরে অনেক দাহ্য পদার্থ ছিল বলে জানান দমকল কর্মীরা। তাঁরা জানান, গ্যাস লাইটারে গ্যাস ভরার ছোট সিলিন্ডারও মিলেছে। পুরনো দিনের এই বাড়িটিতে ঢোকার রাস্তা ও দোতলায় ওঠার সিঁড়ি অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ায় দমকল কর্মীদের কাজে অসুবিধা হয়। আগুন লাগার কারণ নিয়ে অবশ্য কিছু জানাতে পারেননি দমকল কর্তারা।

শনিবারের বিকেলের ঘটনার পরে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট-সহ ছাপা পাড়া তল্লাটে অনেক বসত বাড়ির ভিতরে কারখানা রয়েছে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাঁদের অভিযোগ, কলেজ স্ট্রিট তল্লাটের বিভিন্ন পাড়া রয়েছে বারুদের স্তূপের উপরে।

Advertisement

মেয়র বলেন, ‘‘এই আগুনে অনেক ক্ষতি হতে পারত। দমকলকর্মীদের তৎপরতায় তা এড়ানো গিয়েছে। বসত বাড়ি কী করে বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে তারও আইনগত দিক খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বাড়িটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও যথাযথ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দমকলের সূত্রে খবর।

আগুন কুমোরটুলিতেও। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হল কুমোরটুলির তিনটি প্রতিমা তৈরির ঘর। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। দমকল জানিয়েছে, শনিবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ সেখানে প্রথমে একটি ঘরে আগুন লাগে। তা থেকেই
বাকি দু’টিতেও ছড়িয়ে পড়ে।
দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে দমকলকর্মীদের। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কী ভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে
দেখছে পুলিশ। দমকলের একটি সূত্রের খবর, মূর্তি তৈরির জন্য ঘরগুলিতে নানা দাহ্য বস্তু থাকে। এই আগুনের পিছনে স্টুডিও মালিকদের কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন